চুক্তি অনুমোদনের পরেও গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল
Published: 18th, January 2025 GMT
ইসরায়েল শনিবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। রবিবার সকাল থেকে এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা। তবে চুক্তি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরেও গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল এবং গাজার শাসক হামাসের মধ্যে ১৫ মাস ধরে চলমান যুদ্ধগাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই যুদ্ধে প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ভারী আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এবং শনিবারও এই অঞ্চলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো গাজা শহরের জেইতুন এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে এবং মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে।
গাজার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খান ইউনিস শহরের পশ্চিমে মাওয়াসি এলাকায় একটি তাঁবুতে বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ১২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিস।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা শুক্রবার গাজা উপত্যকাজুড়ে ৫০টি ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে। তবে শনিবারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি তারা।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’