আড়াইহাজারে নৌকার মাঝিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 18th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মিলন মিয়া নামে এক নৌকার মাঝিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জহর আলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত মিলন আড়াইহাজার-সোনারগাঁও এলাকা দিয়ে মেঘনা নদীতে ট্রলার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরো পড়ুন:
সম্পত্তির লোভে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
টাঙ্গাইলে চোর সন্দেহে ১ ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা
মিলন মিয়ার ভাতিজা কবির হোসেন জানান, রাধানগর গ্রামের মতিন এবং প্রতিপক্ষ জহর আলীদের মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এরই জেরে ইসমাইলের নেতৃত্বে মতিন, সুফিয়ান, আরিফ, সাঁজোয়ারসহ কয়েকজন মিলনকে পিটিয়ে আহত করেন। স্বজনরা মিলনকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলবে।
ঢাকা/অনিক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।