হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি পারভেজ মিয়াকে (২১) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালত তাকে করাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

পারভেজ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক।

আরো পড়ুন:

কালিয়াকৈরে সাবেক মন্ত্রীসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১

কুমিল্লার আ.

লীগ নেতা কবিরুল কারাগারে 

পুলিশ জানায়, রাজধানী ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ করা দুই মেয়ে (চাচাতো বোন) গত ১৫ জানুয়ারি রাত ১২টায় শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজে এসে গাড়ি থেকে নামেন। সেখান থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে তারা নবীগঞ্জের কোনাগাঁও এলাকায় বাড়ি ফিরছিলেন। অটোরিকশা চালক তাদের উল্টোপথে খোয়াই নদীর বাঁধে নিয়ে যান। সেখানে চারজন মিলে দুই মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং তাদের কাছে থাকা টাকা নিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা চুনারুঘাট থানায় গিয়ে ঘটনা জানালে পুলিশ অভিযান শুরু করে। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে পারভেজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

চুনারুঘাট থানার ওসি মো. নূর আলম বলেন, “ধর্ষণের শিকার মেয়েরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ