দুই তরুণী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আসামি কারাগারে
Published: 18th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি পারভেজ মিয়াকে (২১) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালত তাকে করাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
পারভেজ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক।
আরো পড়ুন:
কালিয়াকৈরে সাবেক মন্ত্রীসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১
কুমিল্লার আ.
পুলিশ জানায়, রাজধানী ঢাকায় গৃহকর্মীর কাজ করা দুই মেয়ে (চাচাতো বোন) গত ১৫ জানুয়ারি রাত ১২টায় শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজে এসে গাড়ি থেকে নামেন। সেখান থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে তারা নবীগঞ্জের কোনাগাঁও এলাকায় বাড়ি ফিরছিলেন। অটোরিকশা চালক তাদের উল্টোপথে খোয়াই নদীর বাঁধে নিয়ে যান। সেখানে চারজন মিলে দুই মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে এবং তাদের কাছে থাকা টাকা নিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা চুনারুঘাট থানায় গিয়ে ঘটনা জানালে পুলিশ অভিযান শুরু করে। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে পারভেজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চুনারুঘাট থানার ওসি মো. নূর আলম বলেন, “ধর্ষণের শিকার মেয়েরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।