নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে ব্যাপক ভাবে কাজ করতে হবে: গিয়াসউদ্দিন
Published: 18th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে উস্কানিমূলক কর্মকান্ড চালানোর চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জ শহরকে মাদক ও চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের বলবো আপনারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে ব্যাপক ভাবে কাজ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের গৌরবের সঙ্গে আমার গৌরব। শুধু উন্নয়ন নয়, মাথা উচু করে যেনো দাড়াতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
শনিবার ( ১৮ জানুয়ারী ) বিকেলে জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া খেলার মাঠে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ যা চায়, যা তাদের প্রত্যাশা, তা পূরণ করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। স্বৈরাচার যে ধ্বংসস্তুপ রেখে গেছে, আমরা সেই অবস্থা থেকে দেশকে গড়ে তুলবো, উন্নয়ন করবো এবং মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করবো।
নিজ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে গিয়াসউদ্দিন বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্খা ব্যাহত হয় এমন কোনো কাজে যেন আমরা লিপ্ত না হই। আমরা যেন জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী হই এবং ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে পারি। আমরা জনগণের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোন আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবো এদেশে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলন অব্যাহত আছে, আগামী দিনেও করে যাবো যতদিন পর্যন্ত ভোটের অধিকার আমরা আদায় করতে না পারি।
৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
রন হক সিকদারের নামে থাকা ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ
এবার শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদারের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দ দেওয়া ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
দুদক আদালতকে বলেছে, ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নামে–বেনামে জনগণের আমানতের অর্থ লুটপাটসহ ঘুষের বিনিময়ে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সেই অনুসন্ধানে দেখা গেছে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৯ নম্বর সেক্টরের ১০০ একর জমি রন হক সিকদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক হোল্ডিংয়ের নামে বরাদ্দ দেওয়া। এই জমিতে ১০০ থেকে ১৪২ তলা আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করার অনুমোদন দেয় রাজউক। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বরাদ্দ দেওয়া হয় তিন হাজার কোটি টাকায়। মাত্র ২৭০ কোটি টাকার একটি কিস্তি দিয়ে ওই সম্পদ নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে দখলের নেন রন হক সিকদার।
দুদক আদালতকে আরও জানিয়েছে, রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই রন হক সিকদারের প্রতিষ্ঠান সেখানে তিনতলা একটি ভবন নির্মাণ করছিল। ভুয়া তথ্য দিয়ে ১১০ কোটি টাকার ঋণ নেয় রন হকের প্রতিষ্ঠান। পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই ১০০ একর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টের আগপর্যন্ত ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বেশির ভাগ ছিলেন সিকদার পরিবারের সদস্য। তাঁরা তখন ব্যাংকে থাকা জনগণের আমানতের হাজার হাজার কোটি টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ দিয়ে পাচার করেছেন।
এর আগে গত ৯ মার্চ রন হক, তাঁর মা মনোয়ারা সিকদারসহ তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ৪২টি বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে আরও জানানো হয়, সিকদার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। তাঁরা বিদেশে থেকে বিও হিসাবগুলো হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন।
এর আগে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সিকদার গ্রুপের রন হক, তাঁর মাসহ তাঁদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নামে থাকা মোট ১৫টি ভবন ও ফ্লোর জব্দের আদেশ দেওয়া হয়।
ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার। ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই রিক হক সিকদার। তাঁরা জনগণের আমানতের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেদের, পরিবারের সদস্যদের ও নিকট আত্মীস্বজনের নামে-বেনামে প্রচুর সম্পদ গড়েছেন। এমনকি তাঁরা প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকটির বিপুল অর্থ লুট ও বিদেশে পাচার করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।