জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, আমরা তাদের দলের মানুষ। তারা জাতীয় সম্পদ। কোনো দলীয় পরিচয়ে আমরা তাদের সংকীর্ণ স্থানে নামাতে চাই না। তাদের আমরা মাথার ওপর তুলে রাখতে চাই। এমন সাহসী মানুষ থাকলে জাতির বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে না। শনিবার রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে জেলা ও মহানগর জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা.

শফিকুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজি-দখলদারির বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলবে, যতক্ষণ ইনসাফ কায়েম না হয়। এই ইনসাফ দিতে পারে একমাত্র আল কোরআন। 
কোরআনের শাসন দিয়ে আমরা বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, ন্যায়-ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আমরা ত্যাগ অনেক করেছি। আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। জীবন খুব ছোট, কাজ অনেক বড়। বিশ্রামের কোনো সময় নেই। 

দেশে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘যারা এসব করছেন, বিনয়ের সঙ্গে বলি এগুলো বন্ধ করেন। তবে যদি আমাদের এই বিনয়ী অনুরোধ কেউ না মানে, তাহলে আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। সন্তানরা স্লোগান দিচ্ছে- আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। যুদ্ধ চলবে।’ তিনি আরও বলেন, আমরা আল্লাহর শক্তিতে বলিয়ান একটি জাতি গঠন করতে চাই। সে জাতি হবে সাহসী জাতি, বীরের জাতি। গত ১৫ বছর আলেম-ওলামাদের ওপর বিগত সরকার তাণ্ডব চালিয়েছে। জামায়াতের দু’জন আমিরসহ ১১ জন দায়িত্বশীল নেতাকে আমাদের বুক থেকে কেড়ে নিয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ যারা করেছে, তাদের গুম করেছে। অসংখ্য ভাইকে খুন করেছে।

কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ড. মো. কেরামত আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগরের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মণ্ডল।

দিনাজপুরে শুভেচ্ছা মিছিল
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, ১৭ বছর পর জেলা শহরে বিশাল শুভেচ্ছা মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। ২৫ জানুয়ারি দিনাজপুরে দলের কর্মী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে এ মিছিল হয়েছে। মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ডক্টর এনামুল হক।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পতাকা উত্তোলন

জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনা কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।

রবিবার (২ মার্চ) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাবি শাখার সমন্বয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এবং ঢাবি সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের। এ সময় কেন্দ্রীয় ও ঢাবি সংসদের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির সভায় গিয়ে আহত ঢাবির সাবেক শিক্ষকের মৃত্যু

‘দায় ও দরদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’

ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ কার্যকর করতে হবে। আমরা দেখেছি ক্যাম্পাসগুলোতে দখলদারিত্বের রাজনীতি হতে দেখেছি। দখলদারিত্বের রাজনীতি নয়, আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য রাজনীতি করতে চাই। আমাদের ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের পালস বুঝে রাজনীতি করবে।”

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালন উপলক্ষে আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করি।”

তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ নতুন ধারার ছাত্র রাজনীতি করবে, যা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়বান্ধব। নতুন বাংলাদেশে আমাদের সংগঠন কাজ করে যাবে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণাভিত্তিক হয়ে ওঠে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পতাকা উত্তোলন