নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে  একটি স্পিনিং মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি ) সকাল ১১টার দিকে  উপজেলার তারাব পৌরসভার কর্ণগোপ এলাকায় আল রাজি স্পিনিং  মিলে ফের  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত ৯ জানুয়ারি এ প্রতিষ্ঠানে  কাজ চলাকালীন রানিং মেশিনের মেটালিক ঘর্ষণের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা কর্তৃপক্ষ  সূত্র জানায়, কারখানাটিতে ডে  শিফটে সেটে  দুই শত শ্রমিক কাজ করছিল। ফিনিশিং সেকশনে  হঠাৎ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে  কাচপুর ফায়ার সার্ভিস এর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ২ ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে আল রাজি স্পিনিং মিলের জেনারেল ম্যানেজার কাজী হাসানুল করিম বলেন, কাজ চলাকালীন সময়ে সকাল ১১ টার দিকে ফিনিশিং সেকশনে হঠাৎ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট  থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই  আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তুলা, সুতা, টিন, সিলিং মেশিনের মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক পার্টসসহ ভেতরে থাকা সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় ফ্যাক্টরির ৫ কোটি  টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন।

 কাচপুর  ফায়ার সার্ভিসের   সিনিয়র স্টেশন অফিসার  জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আমরা পৌঁছে  প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায়  আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।  প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট- সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।এই অগ্নিকাণ্ডে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তদন্তের পর ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ পরিমাণ  বলা যাবে।

 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ