কক্সবাজারের টেকনাফ গহীন পাহাড়ে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে হ্নীলা বিটের পাহাড়ি ছড়া থেকে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফের সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম।

স্থানীয় বাসিন্দা সোনা মিয়া জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা একটি হাতিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরবর্তীতে বনবিভাগের কর্মীরা হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।

টেকনাফ সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো.

মনিরুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে হ্নীলা বিটের পাহাড়ি ছড়া থেকে ৮-১০ বছর বয়সী একটি হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাতিটি পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেছে। সঠিক মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। উদ্ধারকৃত হাতিটির সুরতহাল শেষে পাহাড়েই মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

টেকনাফ পাহাড়ে বাচ্চা প্রসবের সময় হাতির মৃত্যু

রামুতে বন্যহাতির আক্রমণে ১ ব্যক্তি নিহত

এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি বাচ্চা প্রসবের সময় টেকনাফের হোয়াইক্যং বনবিটে একটি মা হাতির মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গত বছরের ১৬ আগস্ট উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে নোয়াখালীপাড়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে আরো একটি হাতি মারা যায়।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ