‘দুই ট্রফি’ নিয়ে রংপুর মাতাতে আসছে রাইডার্স শিবির
Published: 18th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর আগেই গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) ট্রফি জিতে শিরোনামে এসেছিল রংপুর রাইডার্স। চলমান বিপিএলেও জিএসএলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। জিএসএলের ট্রফি নিয়ে রংপুর যাচ্ছে রাইডার্স শিবির। এই ‘ট্রফি ট্যুরে’র অংশ হিসেবে সঙ্গে থাকবে বিপিএলের ট্রফিও।
২০ জানুয়ারির এই ট্রফি ট্যুরে নানান আয়োজন করেছে রংপুর রাইডার্স। দলটার ক্রিকেটাররা হেলিকপ্টারে এসে যোগ দেবে রংপুরে। সেখানে দুই ট্রফি (জিএসএল, বিপিএল) নিয়ে থাকছে নানান কার্যক্রমও। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রংপুর।
পুরো রংপুরে এই ট্যুরে দেড় হাজার জার্সি দেওয়া হবে ফ্যানদের। বিপিএল মাসকট ‘ডানা ৩৬’ ও থাকছে এই আয়োজনে। দুপুর একটায় দুই ট্রফি নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করবে রংপুর রাইডার্স। দুপুর দুইটায় রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনে হবে প্লেয়ার মিট অ্যান্ড গ্রিট।
আরো পড়ুন:
রিশাদকে বিগ ব্যাশ-পিএসএল খেলার সুযোগ দিতে বললেন মালান
মাথায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, বিপিএলে তাড়াহুড়ো নেই সৌম্যর
এমনকি ট্রফির সাথে ছবি তোলারও সুযোগ থাকবে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের। বিকেল তিনটা থেকে কনসার্টও আয়োজন হচ্ছে। থাকবেন দেশ বরেণ্য ব্যান্ড ‘এভোয়েড রাফা’।
এর আগে ২০২৪ এর ৬ ডিসেম্বরে গায়নায় গ্লোবাল সুপার লিগের ট্রফি জিতেছিল রংপুর। যেখানে পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে ভিন্ন পাঁচ দেশের সেরা পাঁচ দল অংশ নিয়েছিল। ফাইনালে ভিক্টোরিয়াকে ৫৬ রানে হারিয়ে রংপুর জিতেছিল নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে। আর বিপিএলের চলমান আসরে টানা ৮ ম্যাচ জিতে কোয়ালিফায় করেছে রংপুর।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল জ এসএল ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত ক্ষতিগ্রস্ত হবে: আমির খসরু
‘নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে’। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুততম সময়ে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। একেকটা দিন যাচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যতিত, একেকটা সমস্যা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো গণতান্ত্রিক অর্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে জবাবদিহি দায়বদ্ধ সরকার গঠন করা। যাদের পলিটিক্যাল ওয়েট থাকবে, যাদের পলিটিক্যাল মোবিলাইজেশন ক্যাপাসিটি থাকবে, যাদের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে তারাই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
সোমবার জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু চৌধুরী বলেন, পুলিশ, র্যাব, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো কিছুর সমাধান করতে পারবে না। একটি জনগণ সমর্থিত সরকার যখন দেশ পরিচালনা করে সেই সমর্থনকে নিয়েই কিন্তু দেশ পরিচালিত হয়, সেই সমর্থনকে নিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে, দেশের সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করে। সেটা আজকে অনুপস্থিত, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে আমাদের তুলে ধরতে হবে।
নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব কিনা জানতে চাইলে আমির খসরু বলেন, নির্বাচন জুন মাসের মধ্যেও সম্ভব। নির্বাচন কমিশন যেটা বলছে, তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করছে না। নির্বাচনের বিষয়টা তো সরকারকে বলতে হবে। সরকারের পলিটিক্যাল উইল থাকতে হবে, ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সেটার অপেক্ষায় জনগণ আছে। আর বাংলাদেশের জনগণ ছাড়াও যারা স্টেক হোল্ডার আছে দেশের ভেতরে দেশের বাইরে। তারা সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা করছে কারণ তাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, নির্বাচিত সরকারের অধীনে হলে তারা শর্ট টার্ম-মিড টার্ম-লং টার্ম যে সব প্ল্যান-প্রোগ্রাম তাদের আছে তা তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে। এ জন্য তারাও অপেক্ষা করছে।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমেদ আজম খান, কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত সভাপতি মাহবুবুস সালেকীন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের মেসবাহ উপস্থিত ছিলেন।