আজারবাইজানে এমপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এ তথ্য জানিয়েছে।

ইন্টারফ্যাক্স আজারবাইজানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ব্যবস্থাপনা ইউনিয়ন অফ মেডিকেল টেরিটোরিয়াল ইউনিটস-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি আজারবাইজানের একজন ২২ বছর বয়সী নাগরিক। তিনি জানুয়ারি থেকে বিদেশে পর্যটন ভ্রমণে ছিলেন। দেশে ফিরে আসার কয়েকদিন পর, তিনি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর একটি ক্লিনিকে যান এবং দুর্বলতা, জ্বর, ত্বকে ফুসকুড়ি এবং পেশীতে ব্যথার অভিযোগ করেন।

বার্তা সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, রোগীর সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি এবং তাদের বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এমপক্স একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণত ফ্লুর মতো লক্ষণ ও পুঁজ ভরা ক্ষত সৃষ্টি করে। রোগের লক্ষণগুলো তীব্র না হলেও এটি প্রাণঘাতী হতে পারে।

গত বছরের আগস্ট মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে এমপক্সের প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল। কারণ তখন কঙ্গো থেকে প্রতিবেশী দেশ এবং তার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।

এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ