শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বাণী দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী (ঢাবি) শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বাণী দেয় সংগঠনটি।

ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়কদ্বয় অধ্যাপক ড.

আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক আবুল কালাম সরকারের যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জিয়াউর রহমানের ডাক নাম কমল। যিনি ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। যখনই বাংলাদেশ ক্রান্তিলগ্নে পড়েছে তখনই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে দেশ ও জনগণের জন্য অপরিসীম ভুমিকা রেখেছেন।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অগ্রগণ্য সেনানায়ক। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১১ জন সেক্টর কমান্ডারের একজন ছিলেন। কিন্তু তিনি সেক্টর কমান্ডার ও বীর উত্তম খেতাবধারীদের মধ্যেও অনন্য ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে।

তার স্বাধীনতার ঘোষণায় দেশবাসী উজ্জীবিত হয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে প্রাণপনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে জাতি পেয়েছে লাল-সবুজের এক পতাকা সম্বলতি বাংলাদেশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন সংযোজন। একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিপরীতে একটি জাতির সম্মিলিত স্লোগান। যার মধ্য দিয়ে ফিরে আসে হারানো স্বাধীনতা। পুনরুজ্জীবন লাভ করে গণতন্ত্র। মুখ দিয়ে প্রকাশিত হতে থাকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মানুষের বুকের ভেতর পুষে রাখা লাঞ্ছনা-বঞ্চনার শ্লোক। স্বান্তনা খুঁজে পায় যন্ত্রণাকাতর জনগণ।

এর মধ্য দিয়ে বিপথে যাওয়া বাংলাদেশের তার নিজ কক্ষপথে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেই পথ দেখিয়ে গেছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মাত্র চার বছরের শাসনামলে তিনি যে বাংলাদেশের বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছিলেন, সেটিই ছিল আধুনিক বাংলাদেশের আসল পথ। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আবার তার কাঙ্খিত গন্তব্যে পা বাড়াবে সেটি এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শুধু নারী নয়, পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়: প্রিয়াঙ্কা

ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মডেলিং দিয়ে। বলিউড জয় করে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া হলিউডেও তৈরি করেন নিজের জায়গা। অথচ তাকেও নাকি একটা সময় বিনা কারণে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। বলিউডের কালো দিক প্রকাশ্যে এনে তিনি জানালেন, এখানে শুধু নারীরা নয়, পুরুষদেরও হতে হয় যৌন হেনস্থার শিকার।

একটি সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান, তিনি যৌন হেনস্থার শিকার না হলেও বলিউডে ক্ষমতার অপব্যবহারের সম্মুখীন হয়েছেন। ক্ষমতাধর একজন প্রেমিকাকে সিনেমায় নিতে চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

অতীতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাকেও একটা সময় সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, একজন অন্য কাউকে নিতে বলেছিলেন। আমি একটা সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর তার প্রেমিকাকে ওই সিনেমায় নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে। সেটা তো ক্ষমতার অপব্যবহারই। সে প্রেমিকা অভিনেতার হোক বা পরিচালকের।’

এরপর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কথায় উঠে আসে যৌন হয়রানির কথা। তিনি বলেন, ‘শুধু নারীরা নন, বলিউডে পুরুষরাও কাস্টিং কাউচের শিকার হন। নিম্নমানের এই মানুষগুলো নতুনদের সুবিধা নিতে চান। বড় পরিচালক, প্রযোজকরা কখনই এমন কাজ করেন না। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবতী আমি সবসময়ই ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি।’ সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শুধু নারী নয়, পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়: প্রিয়াঙ্কা
  • নির্বাচনের চাপ বাড়াতে ‘দ্রুত আন্দোলনে যাবে’ বিএনপি 
  • ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
  • গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার: তারেক রহমান
  • চীনের বসন্ত উৎসবে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
  • আ. লীগের হরতাল-অবরোধ ঘিরে কঠোর হবে সরকার: প্রেস সচিব
  • বৈষম্যবিরোধীদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থান অগ্রহণযোগ্য
  • রাজনীতিবিদ, প্রশাসন ও জনগণের ‘ম্যাট্রিক্স’
  • জনগণের বিপক্ষে গেলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
  • সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে: তারেক রহমান