বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “৫ আগস্টের বিজয়কে অক্ষুণ্ন রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া বিকল্প কোনো রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না সাধারণ মানুষ। তাই জামায়াতে ইসলামী ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করবে।”

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে চাঁদপুর সদরের হরিণা ফেরিঘাটে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

গোলাম পরোয়ার বলেন, “জামায়াতে ইসলামী পূর্বে বিভিন্ন দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ ছিল। সবশেষ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ২০২২ সালে জোট ভেঙ্গে যায়। তবে ইসলামী দলসহ অন্যান্য সমমনা দলের সঙ্গে জোট করতে জামায়াতে ইসলামীর কোনো আপত্তি নেই।”

আরো পড়ুন:

জামায়াতের লড়াই চালু থাকবে: ডা.

শফিকুর 

সবকিছুর সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়: গোলাম পারওয়ার

তিনি আরো বলেন, “যাদের সঙ্গে জোট করা হবে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রয়োজনে তাদের কিছু কিছু আসন আমরা ছেড়ে দেব। ফ্যাসিবাদী সরকারের নৈরাজ্যবাদ থেকে মুক্তির জন্য জামায়াতে ইসলামী সব সময় সোচ্চার থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে যেতে ঐক্যবদ্ধ।”

গোলাম পরোয়ার ফেনী জেলায় সাংগঠনিক সফর শেষে খুলনায় যাওয়ার পথে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটে চাঁদপুর জেলা জামায়াতের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, শহর শাখার আমির অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান, সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী, সেক্রেটারি মাওলানা জুবায়ের হোসেন, সহ-সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ।

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

৩শ’ শয্যা হাসপাতালের রোগীদের সেবায় জেলা প্রশাসনের হুইল চেয়ার বিতরণ

৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জের রোগীদের সেবায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল দশটায় শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যা হাসপাতালে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এসময়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা হাসপাতালের প্রতিটি স্থান ও ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলেন। 

এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে সেবা নিতে আসা অসুস্থ রোগীদের জন্য পাঁচটি হুইল চয়ার বিতরণ করলাম।

তারা রিক্সা কিংবা ভ্যান করে হাসপাতালে আসার পরে হেঁটে হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারে না সেইসব রোগীদের জন্য এই হুইল চেয়ার। 

আগে যে হুইল চেয়ার গুলো ছিল তার অধিঅংশই নষ্ট হয়ে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে অনুরোধ করেছিল রোগীদের সবার জন্য কিছু হুইল চেয়ার দেওয়ার জন্য আমরা তাদের সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই আমরা আজকে হুইল চেয়ার গুলো তাদের মাঝে বিতরণ করলাম। 

আমরা জানি হাসপাতালে যারা আসেন তারা সবচেয়ে অসহায় মুহূর্তে এবং অসহায় রোগীরাই আসেন। যখন তারা অসহায় সময়টা আসবেন তারা যেন তাদের সঠিক সেবাটা পায়। 

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা এই হাসপাতালের একটা গ্রীন এন্ড ক্লিন একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। সে আলোকেই আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজ শুরু করেছি। এই হাসপাতালে তারা অনেকটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে। 

আর হাসপাতালে যে বর্জ্য ব্যবস্থা রয়েছে সে বিষয়ক কথা হয়েছে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের সাথে কথা এটাকে কিভাবে পরিষ্কার করা যায় এবং ডেইলি নেওয়া যায় সেটা আমরা চেষ্টা করব। আর এই হাসপাতালে আমরা এক হাজারের মতন গাছ লাগাব হাসপাতালকে সবুজের অরণ্য হিসেবে গড়ে তুলবো। 

তিনি বলেন, আমরা আজকে হাসপাতালের প্রতিটি স্থান ও ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেছি এবং সেবা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলেছি। আপনারা যেন হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়ে যাওয়ার পরে অনেকেই সেটিসফেশন করে না এবং আমাদের কাছে অনেক ধরনের অভিযোগ করেছে। 

কিন্তু আজকে আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা কিন্তু আমাদেরকে বলেছে যে না আমরা এখানে সঠিক সেবা পাচ্ছি। তবে আউট সাইডে মাদকাসক্তরা রয়েছে তার বিভিন্ন সময় চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা আছে।

এগুলো প্রতিরোধে আমরা আজ থেকে এখানে মোবাইল নিয়মিত মোবাইল কোড পরিচালনা করব। রাতে করে আজকের পর থেকে এখানে কোন মাদকাসক্ত বা না আসতে পারে এবং চুরির বিষয়টা আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করব। 

তিনি আরও বলেন, এটি কিন্তু একটি বড় ধরনের হসপিটাল। আমাদেরকে অবশ্যই এখানে সিকিউরিটিটা এন্ড শিওর করতে হবে। আগামী মাসে আমাদের পাশের যে নতুন ভবনটিও রয়েছে এটার চারতলা পর্যন্ত কমপ্লিট হয়েছে। আগামী মাসে আমরা মিনিস্টারিতে কথা বলব এটার অনুভূতি পেলে আমরা এর কার্যক্রম চালু করব। 

এর মাধ্যমে এর কার্যবিধি বৃদ্ধি পাবে আর আমরা এখানে একটি আনসার ফোর্স নিয়োগ থাকবে যাতে করে এখানকার সিকিউরিটি ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এখানে যারা আনসাররা থাকবে তাদের রুমগুলোকে আমরা সংস্কার করে দিব।

যদি এখানে কমপ্লিট একটিভ আনসার টিম পাই তাহলে রাতের বেলা এখানে সিকিউরিটিটা জোরদার হবে এবং চুরিও মাদক থেকে আমরা উত্তোলন হতে পারব। 

আর হাসপাতালে দালালদের বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা নির্দেশনা রয়েছে। যদি তাদের সাথে আমাদের কোন কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবুল বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।  এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আলমগীর হোসাইনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ