তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি রোববার। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ১৩ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে ১ ডিসেম্বর এ রিভিউটি শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছিল। 

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৬ অক্টোবর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর আগে একই বিষয়ে ২৭ আগস্ট রিভিউ করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড.

বদিউল আলম মজুমদার। এছাড়া জামায়াত ইসলামীও একটি রিভিউ আবেদন করে। পরে এসব রিভিউ আবেদনের একত্রে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১১ সালের ১০ মে ওই সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

এছাড়াও গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহীতে নিজের ভাই ও বোনকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে তরিকুল ইসলাম (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কালাম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন। 

তরিকুল ইসলাম রাজশাহীর নগরের কাদিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তিনি তার ভাই সাদেকুল ইসলাম ও বোন আক্তারা জাহান কল্পনাকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় আরো চার জনকে কুপিয়ে আহত করেন তিনি। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ ঘটনায় নিহত সাদেকুল ইসলামের ছেলে ইউসুফ আলী সিজার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শামীম আহমেদ। তরিকুল ইসলামের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তাই, রাষ্ট্র তার পক্ষে এক জন আইনজীবী নিয়োগ করেছিল। তার পক্ষে লড়েছিলেন মাহমুদুর রহমান রুমন।

তিনি বলেছেন, আসামি যেহেতু পরিবারের দুই সদস্যকে হত্যা করেছেন। তাই, পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি। রাষ্ট্রই আমাকে তার পক্ষে নিয়োগ করেছিল।

রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান রুমন বলেছেন, আসামি খুন করেছেন, এটা ঠিক। কিন্তু, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। মানসিক ভারসাম্যহীন আসামিকে যেভাবে বিবেচনা করা দরকার ছিল, তা করা হয়নি। অন্য আসামির মতোই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তরিকুল ইসলাম। রায় ঘোষণার জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রায়ের পর তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রেই থাকছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অঞ্জন, আইনি লড়াইয়ে জয়
  • ৫ আগস্ট সংসদের বিশেষ কক্ষে স্পিকারসহ ১২ জন অবস্থান করতে বাধ্য হই, আদালতে বললেন পলক
  • মাগুরার শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলার চার্জ গঠন, ২৭ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য
  • মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ছিল: অধ্যাপক ইউনূসসহ ৭ আপিলকারীর আইনজীবী
  • অধ্যাপক ইউনূসসহ সাতজনের আপিল মঞ্জুর, দুদকের মামলা বাতিল
  • হত্যার ৩২ বছর পর রায়, ১ জনের যাবজ্জীবন
  • তদন্তে ‘অগ্রগতি’র কথা জানিয়ে সময় চাইল রাষ্ট্রপক্ষ
  • স্ত্রীর সঙ্গে কখনো ঝগড়া হয়নি অস্কারজয়ী অভিনেতার
  • রাজশাহীতে ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড
  • ছোট্ট উঠোন থেকে আইপিএলের রূপালি আলোয় বৈভব