৪ দেশের কণ্ঠশিল্পী নিয়ে ‘লিভিং রুম সেশন-সিজন টু’
Published: 18th, January 2025 GMT
শুরু হতে যাচ্ছে পাভেল আরিনের ‘লিভিং রুম সেশন’-এর দ্বিতীয় সিজন। জানা গেছে, এবারের আয়োজনে চার দেশের কণ্ঠশিল্পীর গানে ১৫ দেশের মিউজিশিয়ান কাজ করবেন।
সম্প্রতি লিভিং রুম সেশনের নতুন এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পাভেল আরিন বলেন, ‘দেশের সীমানা পেরিয়ে লিভিং রুম সেশান গানের একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করল। এ যাত্রায় ক্রিয়েটিভ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে সঙ্গে পেয়ে আমি আনন্দিত। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি।’
পাভেল আরিন জানান, নির্ধারিত বিরতির পর লিভিং রুম সেশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে গত শনিবার লন্ডনের বিশ্বখ্যাত রেস্তোরাঁ দ্য আইভি টাওয়ার ব্রিজে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলেও দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রেখেছেন পাভেল। জানালেন, ইতোমধ্যে চার দেশের শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পন্ন হয়েছে, আলাপ-আলোচনাও চূড়ান্ত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুবদল নেতাকে পেটালেন জিয়া পরিষদ ও প্রজন্ম দলের নেতাকর্মীরা
চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকরাদরকে মারধর করেছেন নিজ দলের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্ট হাউসের নিচতলায় ঘটনাটি ঘটে।
শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল মিয়া ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজীবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন নৌশাদ শিকদারকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটির ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।
আরো পড়ুন:
বাসচালককে পেটানোর অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে, মহাসড়কে বিক্ষোভ
কুয়েটের এক প্রকৌশলীকে মারধর, অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিকদার গেস্ট হাউসের নিচতলায় নৌশাদ শিকদারকে দেখেই লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন টুটুল মিয়া ও মো. সজীবের নেতৃত্বে থাকা ১০-১২ জন। পরে এলাকাবাসী আহত নৌশাদ শিকদারকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
অভিযুক্ত টুটুল বলেন, “আমার গোষ্ঠীর মোমেদ আলীর দোকান এক মাস আগে জোর করে বন্ধ করে দেন নৌশাদ। দোকানটি চালু করতে হলে তাকে নাকি নগদ ১ লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হবে।”
নৌশাদ শিকদার বলেন, “আমাকে কী কারণে তারা মারধর করল, তা আমি কিছুই জানি না। তাদের যে অভিযোগ আমি শুনেছি, তা মিথ্যা। আমি কারো কাছ থেকে কোনো চাঁদা দাবি করিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জন মিলে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। আমি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।”
কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, “গতকাল নৌশাদকে পেটানোর একটি ভিডিও দেখেছি। যা মোটেও ঠিক হয়নি। আমি এ ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাই। যাঁরা জড়িত সেটি পর্যালোচনা করব এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করব।”
মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই শোনেননি। কারো কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ