‘ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আমিক ডে’ উদযাপন
Published: 18th, January 2025 GMT
নব্বই দশকে বিশ্বব্যাপী মাদক সমস্যা যখন প্রকট আকার ধারণ করে সেই সময়ে ১৯৯০ সালে তামাক, এইডস ও মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আহ্ছানিয়া মিশন মাদকতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (আমিক) যাত্রা শুরু হয়।
প্রথম পর্যায়ে তামাক, এইডস ও মাদকের বিরুদ্ধে সমাজের সব পর্যায়ের গণসচেতনতা সৃষ্টিতে দেশব্যাপী বিভিন্ন নেটওর্য়াক গঠনের মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। বর্তমানে আমিক ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রতিনিধিত্ব করছে। এ বছর আমিক ৩৫ বছরে পর্দাপণ করেছে। এই র্দীঘ সময়ের যাত্রায় আমিকের কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্ত হয়েছে আরো অনেক প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান।
আমিকের ৩৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের একটি পার্কে দিনব্যাপী আনন্দ-উৎসবে দিনটি উদযাপিত হয়।
বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে খেলাধুলা, র্যাফেল ড্র ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাবেক ও বর্তমান সহকর্মী এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় এই বর্ণিল আয়োজন।
ঢাকা/হাসান/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।