দুদকের নতুন ডিজি আবদুল্লাহ-আল-জাহিদ
Published: 18th, January 2025 GMT
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গোয়েন্দা সেলের পরিচালক আবদুল্লাহ-আল-জাহিদকে মহাপরিচালক (ডিজি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুদকের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) দাউদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
তবে তাকে দুদকের কোন বিভাগে দায়িত্ব দেওয়া হবে আগামীকাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। দুদকের আটটি অনুবিভাগের প্রধান হিসেবে আটজন ডিজি দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে পাঁচটি অনুবিভাগে জনপ্রশাসন থেকে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের নিযুক্ত করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ-আল-জাহিদ ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি আইনশাস্ত্রে এলএলবি এবং ব্যবসায় প্রশাসনে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে তিনি থাইল্যান্ডের এআইটি হতে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ে মালয়েশিয়া হতে কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি চীন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও আমেরিকার আটলান্টায় দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।