বিকালে এখানকার সবচেয়ে বড় আর প্রসিদ্ধ গ্রেগরি লেকে ঘুরতে গেলাম। শ্রীলঙ্কার ইকোনমিক অবস্থা তেমন ভালো না। তাই নতুন সরকার পর্যটন খাত থেকে ইনকাম বাড়ানোর জন্য সব পর্যটন এলাকায় এন্ট্রি ফি বাড়িয়ে দিয়েছে। এই লেকে প্রবেশের জন্য দিতে হবে ৬০০ রুপি। যদিও বাংলাদেশের টাকায় মাত্র ২০০ টাকা, তাও আমাদের মতো বাজেট ট্রাভেলারদের জন্য বিদেশে এসে এ টাকাও গায়ে লাগে। কিছুদূর হাঁটার পর লেক ভিউসহ একটা কফিশপ পেয়ে গেলাম। জায়গাটা ভারি সুন্দর আর নিরিবিলি। দেখে খুব বসতে ইচ্ছা করল ৷ ৫০০ রুপিতে কফি অর্ডার করে ফেললাম। ছোট কেটলিতে প্রায় তিন কাপ কফি দিয়ে গেল। বাহ! সুন্দর হীম শীতল পরিবেশে এমন ধোঁয়া ওঠা কফি পেয়ে মন আরো চনমনে হয়ে উঠল।
পরবর্তি গন্তব্য বহু প্রতীক্ষিত অ্যাডামস পিক বা শ্রীপদ। যা সব ধর্মের লোকের তীর্থ স্থান বলে স্বীকৃত। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের শ্রীপাড়া প্রদেশে অবস্থিত এই পর্বত চূড়া যা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের কাছে অতি পবিত্র স্থান। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন এই পদচিহ্নটি গৌতম বুদ্ধের, হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই পদচিহ্নটি তাদের দেবতা শিবের এবং মুসলিম ও খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন এটি পৃথিবীর প্রথম মানব আদম (আ:)-এর পদচিহ্ন। নুয়ারা এলিয়া হয়ে হাটর্ন, গাড়ি পাল্টে মাস্কেলিয়া থেকে ডালহাউজি হয়ে ভেলিগামা মাদাস্তুতা, এরপর নাল্লাতান্নি, বাসে বাসে দিন পার। শ্রীলঙ্কার এক প্রান্ত থেকে চলে এলাম অন্যপ্রান্তে। ছিলাম সাগরে, সেখান থেকে পাহাড়ে। এই চূড়ায় একটি পায়ের ছাপ আছে যার দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২ ফুট ৬ ইঞ্চি। উচ্চতা ২২৪৩ মিটার বা ৭৩৫৯ ফুট।
চূড়া পর্যন্ত উঠতে পার করতে হবে ৫৫০০ কংক্রিটের সিঁড়ি। পাহাড়ের চারপাশের বনাঞ্চল নানা ধরনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণাগার। যেখানে হাতি থেকে চিতাবাঘ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির এবং অনেক স্থানীয় প্রজাতি বাস করে। এই পর্বতকে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর জলস্রোত ভাগ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেলানি নদী, ওয়ালাওয়ে নদী এবং কালু গঙ্গা নদীর প্রধান উৎস।
নাল্লাতান্নির একটা হোটেলে ব্যাগ রেখে আমরা এডামস পিকের দিকে রওনা হলাম। তখন প্রায় বেলা ৩টা বেজে গেছে। মূলত সবাই রাতে যাত্রা শুরু করলাম ভোরে সূর্যোদয় দেখার জন্য। আমাদের হাতে সময় কম, তাই বিকেলের গোধূলি লগ্ন উঁচু পাহাড় দেখব বলে হাঁটা শুরু করলাম। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা একটু বিরক্তিকর বটে। শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে পর্বতারোহী রিফাত ভাইয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তিনি জানিয়েছিলেন কষ্ট করে চূড়াতে উঠে আপনি হতাশ হবেন। উঠেই যাচ্ছি কিন্তু এই সিঁড়ি যেনো আর শেষ হয় না। এদিকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। দিগন্ত রেখা দেখব বলে যে আশা করেছিলাম পাহাড়ের উপরের দিকে মেঘের কোলে তা ঢাকা পড়েছে। আমি পা চালিয়ে এগিয়ে গেলাম, সায়েমকে আর খুঁজে পেলাম না। চূড়ার কিছু দূর আগে পোল্যান্ডের সায়মনের সঙ্গে পরিচয় হলো। আমার হাতের ক্যামেরা তাকে দিয়ে কয়েকটা ছবি তুলতে অনুরোধ করলাম। সে তার ফোন আমাকে দিল ছবি তুলে দিতে। সায়মন সাউথ এশিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন মাস ধরে। কোনো বাংলাদেশীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়নি। তার ভ্রমণ তালিকায় বাংলাদেশ আছে জেনে আমিও বেশ উৎসাহ দেখালাম এবং নিমন্ত্রণ জানালাম।
বিদায় নিয়ে আবার হাঁটা শুরু করলাম। যদিও আমাদের আবার নিচে দেখা হয়েছিল এবং পরবর্তিতে সায়মন বাংলাদেশেও এসে আমার বাড়িতে থেকেছে। চূড়ার যত কাছে যেতে থাকলাম তত ঠান্ডা লাগা শুরু হলো। উইন্ডশিলটা গায়ে পরে নিলাম। একদম উপরে উঠে জুতা খুলতে হয়। একটা মন্দিরের মতো ঘর তৈরি করা আছে, তার চারপাশে পুণ্যার্থীরা বসে আছে। হিম শীতল থমথমে পরিবেশ। পদচিহ্নর জায়গা খানিকটা উঁচু এবং পুরাটাই ঢেকে রাখা। অল্প একটা অংশ পূজার জন্য খোলা রাখা আছে। বিশাল আকারের একটা ঘণ্টা রাখা আছে, একেকজন আসছে আর লম্বা দড়িতে ঝোলানো লোহার পাত দিয়ে সেই ঘণ্টায় আঘাত করা মাত্র তার প্রকট শব্দে চারপাশ প্রকম্পিত হচ্ছে। মনে হলো সেই ঘণ্টার শব্দে পর্বতজুড়ে দৈববাণী করতে করতে কেউ অবতরণ করবে।
ঘুরে ফিরে দেখে কিছুক্ষণ দেয়ালে হেলান দিয়ে বিশ্রাম নিলাম। পাশে বসা একজনের সঙ্গে আলাপ পরিচয় হলো। তার থেকে জানলাম এখানে বছরের একটা সময়ে ডিসেম্বরের শুরু থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত পুণ্যার্থীদের ব্যাপক সমাগম হয়। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় লক্ষ করলাম ভারী ভারী বস্তা নামাচ্ছে শ্রমিকেরা। ভালো করে দেখলাম তাতে তালা লাগানো আর ঝনঝন শব্দ হচ্ছে। আসলে উপর থেকে পয়সার বস্তা নামানো হচ্ছে। ‘পিকে’ সিনেমার ‘ডার কা বিজনেস’র কথা মনে পড়ে গেল। পৃথিবীর সব জায়গায়ই এসব চলছে। চূড়ায় ওঠানামার সময় অসংখ্য খাবারের দোকান, এবং বাহারি জিনিসের দোকান চোখে পড়বে। অনেকে থেমে থেমে চা-পানি খেয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে। আমি মোটামুটি আড়াই ঘণ্টার মধ্যে টপে উঠে গিয়েছিলাম। এই চূড়ায় এসেছিলেন বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা এবং মার্কো পোলো।
ফিরতি টিকিট থাকায় এক জায়গায় বেশিদিন থাকার সুযোগ ছিল না। এডামস পিক থেকে আমরা চলে আসি মিরিসসা। আবার স্বচ্ছ সুন্দর সমুদ্রতট। একবার দেখলে বারবার দেখার ইচ্ছা জাগে মনে। মিরিসসার কোকোনাট হিল জায়গাটা বেশ প্রসিদ্ধ। একবার হলেও এই জায়গায় পর্যটকরা যাবেই। এখানেও স্কুবা, স্নোরকলিং, সারফিংয়ের ভালো আয়োজন আছে। এরপর হিরিকিটিয়াতে এক রাত থেকে ‘গল’ চলে আসলাম। সমুদ্রতীরে ডাচদের বানানো গল ফোর্ট ইতিহাসের অনন্য সৌন্দর্যের সাক্ষী হয়ে আছে। চারপাশে সমুদ্র আর বিশাল এলাকাজুড়ে এই দুর্গের বিস্তৃতি। ১৬০০ শতাব্দিতে পর্তুগিজরা এ অঞ্চলে আসা শুরু করে। এই দুর্গের সঙ্গে সমুদ্র বন্দর ছিল এবং এখানে ইবনে বতুতার জাহাজ নোঙ্গর করেছিল। এখানে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে পুরনো লাইব্রেরি আছে, ডাচ স্ট্রীটে। নির্মাণকাল ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দ।
গল ফোর্টের সীমানায় মেরিটাইম মিউজিয়াম এবং গল মিউজিয়াম রয়েছে। খুব সুন্দর একটা মসজিদ রয়েছে গল ফোর্টের পাশে। রমজান মাস শুরু হয়ে গেছে ততক্ষণে। ইফতারের টাইমে মসজিদে প্রবেশ করে সাজানো ইফতারির সারিতে এসে বসলাম। কাঞ্জি নামে এক ধরনের খিচুড়ি, স্যুপের মতো খাবার পরিবেশন করা হলো। বেশ অন্যরকম তবে উপাদেয়। রমজানে এই কাঞ্জি ছাড়া ইফতারের কথা এখানে কেউ ভাবতে পারে না। সঙ্গে থাকে খেজুর, ফল ও পানি। কাঞ্জিতে ডালের সঙ্গে মুরগির মাংস মিহি করে মিশিয়ে দেয়া হয়। এর সঙ্গে নারকেলের দুধ এবং আরো কিছু উপকরণ আছে। খেতে ভালোই লাগল।
গলের ডাচ কলোনি বেশ পরিপাটি, সুন্দরভাবে সাজানো। অনেক বাড়িতে এখন যাদুঘর, রেস্টুরেন্ট এবং থাকার হোটেল বা গেস্ট হাউজ বানিয়েছে। পর্যটকরা রেড ফোর্টে থাকার স্বাদ নিয়ে নিতে পারে। গলের সমুদ্রতট মন ছুঁয়ে দেয়। বিকালের এক চিলতে রোদ ওই দূর আকাশ থেকে ঠিক সমুদ্রে আছড়ে পড়েছে। আলোর আঁকিবুঁকিতে আকাশে কেউ যেন ছবি এঁকেছে। অনেকক্ষণ শুধু চেয়েছিলাম। তাও চোখ জুড়ালো না। এ কি সুন্দরের মাঝে বিধাতা এনে দাঁড় করাল! চোখ ফেরানো দায়। দারুণ একটা বিকেল কাটিয়ে দিলাম! নানা প্রান্ত থেকে পর্যটক আসেন এই ফোর্টে ঘুরতে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া ডিপার্টমেন্ট থেকে এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী এসেছে। দল বেঁধে ছবি তুলছে ফোর্টের কর্নারে উঁচু জায়গা থেকে। সমুদ্রের বিশালতা সঙ্গে দিগন্তরেখার লাল আভা, মিলেমিশে একাকার। কি অদ্ভুত সুন্দর প্রকৃতি!
এখানে ব্রিটিশদের তৈরি ঐতিহাসিক এবং সবচেয়ে প্রাচীন লাইট হাউজ রয়েছে যার নির্মাণকাল ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ। উচ্চতা ৮৭ ফিট। এই লাইট হাউজের আলো ১৯ কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যায়। একে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এখন আর পর্যটকদের উপরে উঠতে দেওয়া হয় না। বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে দেখলাম ভালো করে। নানা এঙ্গেলে ছবি তুললাম। সাদা ধপধপে এই লাইট হাউজ দূর থেকে দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগে।
পরদিন গল রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোরবেলা কলম্বো শহরের ট্রেন ধরলাম। সমুদ্রের পাড় ধরে এত সুন্দর রেললাইন হতে পারে ধারণাতেও ছিল না। গল থেকে কলম্বো আসতে প্রায় দুই ঘণ্টা দশ মিনিট সময় লাগল। ভোরের দিকে যখন ট্রেনে চড়েছিলাম তখন তেমন যাত্রী ছিল না। একটা ছেলের সঙ্গে কথা হলো, সে পড়াশোনা করছে, একটা চাকরির পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। আবার বিকালেই ফিরে যাবে। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আবার ফিরে আসবে ট্রেনে চেপে। চলতি পথে কতজনের সঙ্গে দেখা হয় কথা হয়। তারা আমাকে ভুলে যাবে, আমিও ভুলে যাবো ওদের। পথের আলাপ পথেই পড়ে থাকবে; পড়ে থাকে বেশির ভাগ সময়ই।
আলো ফুটতে শুরু করলে স্থানীয় মানুষজনের ভিড় বাড়তে লাগল। বেশিরভাগ মানুষ কাজের জন্য শহরের দিকে যাচ্ছে। আমি কলম্বো শহর ছাড়িয়ে বাড়ির পথে যাব। ট্রেনের কু-ঝিকঝিক শব্দের মধ্যে বুঁদ হই আর বিস্তৃর্ণ নীল জলের দিকে তাকিয়ে থাকি। জলের তলায় অপার্থিব যে মায়াবি দুনিয়া আছে মনজগত সেখানে প্রবেশ করে। বাহারি রঙের মাছেরা আমার সামনে দিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে, আমি তাদের ধরতে গেলে এক ঝলকে দূরে চলে যাচ্ছে। সাগরের জল মনে হয় আজ অনেক শীতল। আমার মনের মধ্যেও অন্যরকম শীতলতা অনুভব করছি। (শেষ)
তারা//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ব স কর কলম ব করল ম র একট
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।