সম্পত্তির লোভে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ
Published: 18th, January 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সম্পত্তির লোভে সৈয়দা হুমাইরাকে (১৯) তার স্বামী হত্যা করেছেন বলে নিহতের বাবা দাবি করেছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে হুমাইরার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে হুমাইরার মরদেহ মির্জাপুর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামী রাকিব হাসান বলে জানায় পরিবার।
নিহত হুমাইরা মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চামারি গ্রামের সৈয়দ আহমেদ হোসেন চৌধুরীর মেয়ে। তিনি একই এলাকার রাকিব হাসানের স্ত্রী।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে চোর সন্দেহে ১ ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা
দাদা বাড়ি বেড়াতে এসে খুন হলো শিশু সাফওয়ান
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, প্রায় দেড় বছর আগে হুমাইরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন চামারি গ্রামের বখাটে রাকিব। এক পর্যায়ে জিম্মি করে হুমাইরাকে বিয়ে করেন তিনি। হুমাইরার ভাই-বোন না থাকায় তার বাবার সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিতে নিয়মিত চাপ দিতে শুরু করেন রাকিব। প্রায়ই সম্পত্তির জন্য স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। স্বামীর এমন অনৈতিক চাওয়া এবং মানসিক ও শারিরীক নির্যাতনের কথা পরিবারকে জানাতো হুমাইরা। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও তাকে চাপ দিতেন রাকিব। গতকাল শুক্রবার নির্যাতনের পর হুমাইরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
হুমাইরার বাবা সৈয়দ আহমেদ হোসেন বলেন, “সম্পত্তির লোভে মেয়েকে কৌশলে বিয়ে করে রাকিব। বিয়ের পরই সম্পত্তির জন্য হুমাইরাকে মারধর করতো সে। মেয়েটাকে শেষই করে দিল। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেব। মেয়ে হত্যার বিচার চাই।”
হুমাইরার খালাতো ভাই মঈন আফ্রিদী বলেন, “রাকিব এলাকায় নেশাখোর হিসেবে পরিচিত। কৌশলে হুমাইরার সঙ্গে সম্পর্ক করে জিম্মি করে তাকে বিয়ে করেছিল। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও তাকে (হুমাইরা) হত্যার পর মরদেহ মির্জাপুর হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন তিনি (রাকিব)। বারবার তাকে হাসপাতালে আসার কথা বললেও তিনি আসেনি। অপরাধ করেছেন, তাই পালিয়েছেন।”
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রকিবুল হাসান খান বলেন, “ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। খুব দ্রুতই প্রতিবেদন দেওয়া হবে। নিহতের গলায় ছাড়া শরীরের অন্য স্থানে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।”
মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, “পরিবারের পক্ষে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’