৭ দফা দাবিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন দলিল লেখকরা
Published: 18th, January 2025 GMT
সাত দফা দাবি আদায়ে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি (বাদলেস)।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন সমিতির মহাসচিব এম এ রশিদ।
তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো দীর্ঘদিন ধরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আসছি। কিন্তু দাবির বিষয়ে সরকারের উদাসীনতা আছে। আমাদের দাবিগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানাতে চাই। এ লক্ষ্যে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
তাদের দাবিগুলো হলো- দলিল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি আধুনিকায়নের নামে দলিল লেখকদের পেশাচ্যুত করা যাবে না। সাবেক আইনমন্ত্রী প্রতিশ্রুত দলিল প্রতি সম্মানী ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা বাস্তবায়ন করতে হবে।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লেখক ছাড়া অন্য কেউ দলিল লিখতে বা মুসাবিদা করতে পারবে না বলে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। থানা ও জেলা কার্যালয়ে সরকারি খরচে দলিল লেখকদের বসার ও নামাজের স্থান নির্মাণ করে দিতে হবে। যেহেতু পক্ষদের সরবরাহ করা কাগজপত্রের ভিত্তিতে দলিল লেখা হয়, সেহেতু দলিল লেখা বা মুসাবিদাকারক হিসেবে দলিল লেখকদের আসামি করা যাবে না। দলিল লেখক সমিতির থানা ও জেলা কমিটির সুপারিশ ছাড়া অনভিজ্ঞদের দলিল লেখার লাইসেন্স দেওয়া যাবে না বলে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে এবং দলিল লেখক কাউন্সিল গঠনের অনুমতি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কে এস হোসেন টমাস, এম এ তাহের, গোলাম মোস্তফা, নুরুল হক, আয়নাল হক, আমিনুল ইসলাম আকন, মোস্তাফিজুর রহমান মল্লিক, মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে: আলী রীয়াজ
গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে বিভিন্নভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের আকাঙ্খা বারবার পর্যদুস্ত হয়ে একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক শাসনে পরিণত হয়। গণতন্ত্রের সংগ্রামের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে বিভিন্নভাবে সে বিজয়কে ভূলন্ঠিত করা হয়েছে।
শনিবার ঢাকায় সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ শাসনকে পরাভূত করে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে দলটির উদ্দেশে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দীর্ঘদিনের যে ফ্যাসিবাদী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের বুকের উপর বসে ছিল, তার বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে লড়াই, অকুতোভয় সংগ্রাম এবং আপনাদের সাথীদের প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সে শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছেন। একটি ফ্যাসিবাদী শাসনকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছেন যা বাংলাদেশকে রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে অগ্রসর করেছে। তিনি বলেন, এখন সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। ফ্যাসিবাদ যেন আর কখনও এ দেশে ফিরে না আসে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্থায়ী রূপ নেয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সব রকমের নিপীড়ন যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি।
আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ছাড়াও ছিলেন সামান্তা শারমিন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সারোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন ও নাহিদা সারোয়ার নিভা।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। ২৩ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি কমিশন বরাবর তাদের মতামত জমা দেয়। সে প্রেক্ষিতে দলটির সঙ্গে আজ আলোচনায় বসে কমিশন। দিনব্যাপী এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।