যে কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি কৃতজ্ঞ মালান
Published: 18th, January 2025 GMT
ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার প্রায় ১৯ বছরের। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জার্সিতে তিন ফরম্যাটে খেলেছেন তিনি। তবে অধ্যায়টা সংক্ষিপ্ত। ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সাড়ে চার বছরে টেস্ট খেলেছেন ২২টি। চার বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মাঠে নেমেছেন ৩০বার। আন্তর্জাতিক টি-২০ই খেলেছেন বেশি। সেটাও ছয় বছরে ৬২টি।
ক্যারিয়ারের বাকি সময়টা ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগ, বিদেশি ঘরোয়া লিগ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কাটিয়েছেন তিনি। বিপিএলেই যেমন পাঁচবার খেলতে এসেছেন তিনি। এবার ফরচুন বরিশালে খেলছেন। আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে খেলেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার। পিএসএলে খেলেছেন দুই দলে।
শুধু বিপিএল বা পিএসএল নয় ডেভিড মালান বাংলাদেশের ৫০ ওভারের ঘরোয়া ক্রিকেট ডিপিএলেও খেলেছেন। অনেক পুরনো কথা হলেও সেসব মনে আছে তার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি তাই কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন ইংলিশ এই ক্রিকেটার। জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মতো কঠিন কন্ডিশনে খেলে অনেক দিক থেকে উন্নতি হয়েছে তার।
চট্টগ্রামে শনিবার ফরচুন বরিশালের অনুশীলনে এসে মালান বলেন, ‘ক্রিকেটীয় দিক থেকে বাংলাদেশ সবসময়ই দারুণ জায়গা। আমি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি। হয়তো ১১-১২ বছর হয়ে গেছে। একইভাবে পিএসএল আমার খেলায় উন্নতি করতে সহায়তা করেছে। এসব কন্ডিশন কঠিন। বিপিএল, ডিপিএল; বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ভিন্ন কন্ডিশনে খেলে দ্রুত এবং সহজে উন্নতি করা যায়।’
এবারের বিপিএলের উইকেট ভালো। এটা ধরে রাখা সম্ভব হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নতি হবে বলেও মন্তব্য করেন মালান, ‘বিপিএল খুব ভালো হচ্ছে। আগের ম্যাচগুলো খেলতে না পেরে হতাশ। সিলেটের উইকেট খুবই ভালো ছিল। চট্টগ্রামের উইকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা। আশা করি এটা ধরে রাখা হবে। এতে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরই উন্নতি হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’