বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু জানান, সংগঠনের নীতির পরিপন্থি কাজ করায় এবং দলীয় শৃ্খংলা ভঙ্গের অভিযোগে ১২ শত নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বরিশালেও যদি কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে তাহলে দল ঠিকই অ্যাকশন নেবে।

আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল প্রেস ক্লাবে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া। 

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে যুবদল নেতাকে বহিষ্কার

বরিশালে তাঁতী দলের মতবিনিময় সভা

মতবিনিময় সভায় আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘‘গত জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন শুধু এক মাসের সাফল্য নয়, এ সফলতা বিগত ১৫ বছরব্যাপী বিএনপি নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফসল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।’’  

তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে ঐক্যভাবে থেকে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। ভবিষ্যতে নতুন কমিটি হবে, অনেকে অনেক ধরনের কথা বলবেন। অনেকে মতামত দেবেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে দলকে নতুন করে সাজানো হবে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘যখন নতুন নেতৃত্ব হবে, তখন দেখবেন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ থাকবে না।’’  

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান। এছাড়া মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 

ঢাকা/পলাশ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ন ত কর ম ব এনপ র কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ