ইসলামী ব্যাংকের আমানত ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা
Published: 18th, January 2025 GMT
ইসলামী ব্যাংকের আমানত বর্তমানে ১ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। যা গত বছরের চেয়ে ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। ব্যাংকের ২ দিনব্যাপী ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
এতে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে ৪০০টি শাখা, ২৬৫টি উপশাখা, ২৭৮৩টি এজেন্ট আউটলেট, ৩,০৪০টি এটিএম/সিআরএম বুথের মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংকের ১ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ২০২৪ সালেই। বিগত বছরে এ ব্যাংক আমদানি, রফতানি এবং রেমিট্যান্স আহরণ করেছে যথাক্রমে ৬৪,৭৮২ কোটি, ৩২,৪৩৮ কোটি এবং ৬৬,০১৭ কোটি টাকা। ডিজিটাল ওয়ালেট সেলফিন অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ। ৩৪ হাজার গ্রামের ১৮ লক্ষাধিক পরিবারকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ দিয়েছে এই ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান এবং ধন্যবাদ জানান অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন। ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্ল্যাহ আল মাসুদ বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক দেশের এক নম্বর ব্যাংক এবং জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ এ ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। ৬,৫০০ ইউনিটের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দেশজুড়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২ কোটি ৫০ লাখ গ্রাহক আর এ বিস্তৃত নেটওয়ার্কই প্রমাণ করে এ ব্যাংকের জনপ্রিয়তা।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ৩৪ হাজার গ্রামে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক। আমরা এই সেবা দেশের ৬৮ হাজার গ্রামেই ছড়িয়ে দিতে চাই। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এ ব্যাংক প্রায় ৯ লাখ নতুন গ্রাহক এবং ১৩ হাজার কোটি টাকা নতুন ডিপোজিট সংগ্রহ করেছে। বিগত বছরেই ব্যাংক ৪০০তম শাখা উদ্বোধনের মাইলফলক অর্জন করেছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকের অবদান অবিস্মরণীয়। ২০২৪ সালে নানান চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেও ইসলামী ব্যাংক সব ব্যবসায়িক সূচকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি ডিপোজিট সংগ্রহ করেছে। দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৯ ভাগ এ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা এ ব্যাংকে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের মোট রেমিট্যান্সের এক চতুর্থাংশ। এ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, এ ব্যাংকের কর্মীরা অত্যন্ত সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। একই ছাদের নিচে এতো সৎ ও দক্ষ মানুষের সমাবেশ কোথাও নেই। তারা রেমিট্যান্স আহরণ, বিনিয়োগ ও আমানতের অগ্রগতি অর্জনের জন্য দিকনির্দেশনা দেন। ইসলামী ব্যাংকের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অব্যাহত রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
সম্মেলনে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ, কে এম মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশনের প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান ও ৮টি করপোরেট শাখাসহ ৪০০টি শাখার ব্যবস্থাপকরা অংশ নেন।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্লে অফে রিয়াল-ম্যানসিটি মুখোমুখি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির খারাপ সময় যেন শেষই হচ্ছে না। নতুন ফরম্যাটের গ্রুপ পর্বে খারাপ সময় পার করেছে দু’দলই। ম্যানসিটি গ্রুপের শেষ ম্যাচে জিতে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে।
রিয়াল মাদ্রিদের প্লে অফে উঠতে খুব বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। তবে সেরা আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির দল।
সেরা আটে থাকতে না পারার শাস্তিই যেন পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেরা ষোলোয় যাওয়ার লড়াইয়ে প্লে অফ খেলতে হবে রিয়ালের। ওই লড়াইয়ে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
আগামী ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফের প্রথম লেগ মাঠে গড়াবে। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে প্লে অফের দ্বিতীয় লেগ। শেষ ষোলোর লড়াই ৪ ও ৫ মার্চ এবং ১১ ও ১২ মার্চ মাঠে গড়াবে।
কোয়ার্টার ফাইনাল হবে ৮ ও ৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় লেগ হবে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল। এছাড়া ২৯ ও ৩০ এপ্রিল সেমিফাইনালের প্রথম লেগ এবং ৬ ও ৭ মে দ্বিতীয় লেগ মাঠে গড়াবে। ৩১ মে হবে ফাইনাল।