বান্দ্রার বাড়িতে ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাইফ আলী খান। বৃহস্পতিবার হামলার শিকার হওয়ার পর অভিনেতা কেমন আছেন বা কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন, তা নিয়ে সমাজমাধ্যমেও শুরু হয়েছে চর্চা। এরই মধ্যে সাইফের স্বাস্থ্যবিমার নথি ফাঁস হয়েছে সমাজমাধ্যমে।

সাইফের স্বাস্থ্যবিমার যে নথি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে বিমার ঊর্ধ্বসীমা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, সাইফের ৩৬ লক্ষ টাকার একটি স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। তার মধ্যে হাসপাতালের জন্য ইতিমধ্যেই ২৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে বিমা কোম্পানিটি। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ২১ জানুয়ারি সাইফকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে।

তবে এই নথি প্রকাশ্যে আসার পর, অভিনেতার নিরাপত্তা নিয়ে অনেকেই সমাজমাধ্যমে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা।

বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, সাইফ আলি খান আমাদের গ্রাহক। যে অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছিল প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা আংশিক অর্থ অনুমোদন করেছি। চিকিৎসা সম্পন্ন হলে বাকিটাও দিয়ে দেওয়া হবে। এই কঠিন সময়ে আমরা সাইফ এবং তার পরিবারের সঙ্গেই রয়েছি।

এ দিকে স্বাস্থ্যবিমার নথি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন। নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, তারকা বলেই সিংহভাগ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বিমা কোম্পানির থেকে টাকা পেতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। সূত্র: এই সময়।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান। খবর আল-জাজিরার

স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ