স্বাস্থ্যবিমার নথি ফাঁস, সাইফের চিকিৎসায় খরচ কত?
Published: 18th, January 2025 GMT
বান্দ্রার বাড়িতে ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পর এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাইফ আলী খান। বৃহস্পতিবার হামলার শিকার হওয়ার পর অভিনেতা কেমন আছেন বা কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন, তা নিয়ে সমাজমাধ্যমেও শুরু হয়েছে চর্চা। এরই মধ্যে সাইফের স্বাস্থ্যবিমার নথি ফাঁস হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
সাইফের স্বাস্থ্যবিমার যে নথি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে বিমার ঊর্ধ্বসীমা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, সাইফের ৩৬ লক্ষ টাকার একটি স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে। তার মধ্যে হাসপাতালের জন্য ইতিমধ্যেই ২৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে বিমা কোম্পানিটি। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ২১ জানুয়ারি সাইফকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে।
তবে এই নথি প্রকাশ্যে আসার পর, অভিনেতার নিরাপত্তা নিয়ে অনেকেই সমাজমাধ্যমে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে সংশ্লিষ্ট বিমা সংস্থা।
বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, সাইফ আলি খান আমাদের গ্রাহক। যে অঙ্কের টাকা চাওয়া হয়েছিল প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা আংশিক অর্থ অনুমোদন করেছি। চিকিৎসা সম্পন্ন হলে বাকিটাও দিয়ে দেওয়া হবে। এই কঠিন সময়ে আমরা সাইফ এবং তার পরিবারের সঙ্গেই রয়েছি।
এ দিকে স্বাস্থ্যবিমার নথি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন। নেটাগরিকদের একাংশের দাবি, তারকা বলেই সিংহভাগ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বিমা কোম্পানির থেকে টাকা পেতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। সূত্র: এই সময়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।