ইরানে দুই বিচারককে গুলি করে হত্যা
Published: 18th, January 2025 GMT
ইরানে দুই জ্যেষ্ঠ বিচারককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাজধানী তেহরানে সুপ্রিম কোর্টের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই বিচারক হলেন মোহাম্মদ মোগিসেহ এবং আলী রাজিনি। তাদের হত্যার বিষয়টি দেশটিতে বিচারকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। তারা দুজন আদালতের দুটি আলাদা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।সূত্র- বিবিসি পার্সিয়ান
বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, হামলার ঘটনা ঘটেছে তেহরানের আর্ক স্কয়ারে। এ ঘটনার পর বিচারকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাদের কাছে কীভাবে হামলাকারী পৌঁছাল সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
সরকারি সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজ জানিয়েছে, হামলায় তিন বিচারককে টার্গেট করা হয়েছিল। এরমধ্যে দুজন নিহত হলেও, অপর একজন বেঁচে গেছেন। তবে হামলাকারী হামলার পরপরই আত্মহত্যা করে। এ মুহূর্তে তার পরিচয় এবং হামলার কারণ জানার চেষ্টা চলছে।
দেশটির বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, “হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে এক সশস্ত্র হামলাকারী। আদালতের বাইরে বিচারকদের হত্যার পর সে নিজেকে হত্যা করে। এ দুই বিচারক জাতীয় নিরাপত্তা অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ এবং গুপ্তচরবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। তারা দুজন ছিলেন অভিজ্ঞ এবং সাহসী।”
বিবৃতিতে বিচার বিভাগ আরও বলেছে, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে সুপ্রিম কোর্টে হামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। এছাড়া আদালতে ভিজিটর হিসেবেও যায়নি।”
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’