ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আর–জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং হত্যা মামলায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে।  

শনিবার দুপুরে আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস অভিযুক্ত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেন। 

আগের মতো এদিনও আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সঞ্জয় রায়। বলেন, ‘আমি কিছু করিনি, আমি নির্দোষ। এই কাজ আমার একার পক্ষে করার সম্ভব নয়। যারা করেছে তাদের কেন ছাড়া হলো? আমার কোনো দোষ নেই। সবাই মিলে করেছে। আমি পাপ করিনি। তবে বিচারক জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে।

গত বছরের ৯ আগস্ট আর–জি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে নারী চিকিৎসকের মরদেহ
উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ আগস্ট সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১১ নভেম্বর শিয়ালদহ আদালতে শুরু হয় এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া। গত ১৩ আগস্ট সিভিআইকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। 

তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সঞ্জয়ের ফাঁসির আবেদন করে সিবিআই। অভিযোগপত্রে শুধু তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

স্রোতে ভেসে যাওয়া সেতুটি মেরামত হয়নি আজও

নির্মাণের ৯ মাসের মাথায় বন্যার স্রোতে ভেসে যায় সুন্দরগঞ্জের বেলকা বাজার খেয়াঘাটের ওপর সেতুটি। এরপর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও সেতুটি মেরামত বা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার চরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিবির অর্থায়নে কংক্রিটের খুঁটির ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ২৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা পরিষদ। ঠিকাদার শাহানুর ইসলামের পক্ষে সেতু নির্মাণে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন বামনডাঙ্গার সাগীর খান। সেতুটির নকশা করেন উপজেলা প্রকৌশলী। গত বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ দেখিয়ে ঠিকাদার টাকা ছাড় করিয়ে নেন। ৯ মাস পর গত বছর অক্টোবরে তিস্তায় ভেসে যায় সেতুটির কিছু অংশ। সে সময় জেলা-উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেতু মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত সেতুটি নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

বেলকা বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক জানান, বেলকা ও হরিপুর ইউনিয়নের ২০ হাজার চরবাসীর দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার এখন কী হবে? এ দায় কার? এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

বেলকা চরের শিক্ষার্থী ছানা মিয়া আক্ষেপ করে বলে, সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় চরের শিক্ষার্থীরা খুশি হয়েছিল। কিন্তু উদ্বোধন না হতেই ভেসে গেল তিস্তার স্রোতে। এখন আবার সেই নৌকায় চলতে হবে।

হরিপুর চরের স্কুলশিক্ষক আবদুল জলিল মিয়া বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সেই সময়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের গাফিলতির কারণে সেতুটির এই অবস্থা হয়েছে। এর জন্য এখন জনগণকে খেসারত দিতে হবে। তিনি দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বেলকা খেয়াঘাটের তিস্তার শাখা নদীর ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা এলজিইডির নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাস জানান, তিনি সবেমাত্র যোগদান করেছেন। এ ঘটনা তাঁর জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ