মাঠে ফেরার তাড়া আছে, তাড়াহুড়ো নেই: সৌম্য
Published: 18th, January 2025 GMT
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-২০ সিরিজে ইনজুরিতে পড়েন সৌম্য সরকার। এরপর মাঠের বাইরে আছেন। বিপিএলের অর্ধেকটা হয়ে গেলেও মাঠে নামতে পারেননি তিনি। চট্টগ্রাম পর্বেও বাঁ-হাতি এই ব্যাটারের খেলা অনিশ্চিত। তবে রংপুর রাইডার্সের অনুশীলনে ফিরেছেন সৌম্য। মাঠের অনুশীলন স্বস্তি দিয়েছে বলে জানান লম্বা সময় পর ফর্মে ফেরা এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছেন সৌম্য। তবে তাড়াহুড়ো করে ফিরতে চান না বলেও জানিয়েছেন। রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ চলাকালীন বিপিএল সম্প্রচার করা টিভি চ্যানেলকে সৌম্য বলেন, ‘মাঠে এসে অনুশীলন করেছি, এটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে। তৃতীয় দিনের মতো ব্যাটিং করলাম। আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। যেহেতু আমরা ক্রিকেটার, মাঠে এসে কাজ করতে সব সময়ই ভালো লাগে।’
চোটের উন্নতি সম্পর্কে বাঁ-হাতি ব্যাটার সৌম্য জানান, ব্যাটিং শুরু করলেও এখনো ফিল্ডিং শুরু করতে পারেননি তিনি। ফিজিং এগুলো দেখভাল করছেন। সেভাবেই এগোচ্ছেন। ফিজিও-চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এগোতে হবে। তিনি আরও জানান, তিন দিন ব্যাটিং করে ফিজিওকে আপডেট দিয়েছেন তিনি। তারা আরও কিছু কাজ দিয়েছেন।
বিপিএলে ফেরার প্রশ্নে সৌম্য বলেন, ‘চেষ্টা করছি (দ্রুত ফেরার)। তবে জোরাজুরি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। পুরোপুরি না সারলে বরং বেশি ঝুঁকি। তাড়াহুড়ো করে নেমে গেলে আবার আঘাত লেগে গেলে সারতে এক মাসের জায়গায় দু’মাস লেগে যেতে পারে। আমি, চিকিৎসক, রংপুর রাইডার্স, সব পক্ষ মিলে কথা বলেই ঠিক করতে হবে। চেষ্টা করবো যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকেই শুরু করার।’
সৌম্য সরকার বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে আছেন। লিটন দাস দলে জায়গা না পাওয়ায় টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ের ভার বাইতে হবে তাকে। এর আগে বিপিএলে ফিরে রান করতে পারলে সৌম্যর পাশাপাশি স্বস্তি ফিরবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল স ম য সরক র ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করে কী চাইছেন ট্রাম্প
ইউক্রেনকে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রাম্প কী অর্জন করতে চাচ্ছেন?
বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়, ইউক্রেনের যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে, তাঁকে ছাড় দিতে বাধ্য করতেই মার্কিন সামরিক সহযোগিতা বন্ধের বিস্ময়কর সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন ট্রাম্প।
তিন বছর আগে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধে ইউক্রেনের সামরিক সহায়তার সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। এখন ট্রাম্প ইউক্রেনকে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করে দিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা সহায়তা বন্ধ রাখছেন, সহায়তার বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। তাঁরা দেখছেন, বিষয়টি একটি সমাধানের (ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে) ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে কি না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট। তিনি শান্তির প্রতি মনোনিবেশ করেছেন। তাঁরা চান, যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারেরাও এই লক্ষ্যের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, যতক্ষণ না ট্রাম্প মনে করেন যে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রতি অঙ্গীকারের সদিচ্ছা ইউক্রেন দেখাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সহায়তা বন্ধ থাকবে।
এদিকে ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য জেলেনস্কিকে পদত্যাগ করতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেন, ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।
আরও পড়ুনইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়া বন্ধ করলেন ট্রাম্প৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের সমাপ্তি ‘খুব, খুব দূরে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন জেলেনস্কি। তাঁর এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। এই সমালোচনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনি ইউক্রেনকে মার্কিন সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করলেন।
এর আগে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের বাগ্বিতণ্ডা হয়। বাগ্বিতণ্ডার জেরে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত খনিজ চুক্তি ভেস্তে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র কী চায়, হোয়াইট হাউসের ঘটনায় ট্রাম্পের কাছে জেলেনস্কি দুঃখ প্রকাশ করুক? কোনো ধরনের আপত্তি ছাড়াই তিনি খনিজ চুক্তি গ্রহণ করুন?
ট্রাম্প প্রশাসন তা-ই চায় বলে মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা হোয়াইট হাউসের ঘটনার জন্য জেলেনস্কিকে দোষারোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে, ট্রাম্পকে যথেষ্ট ধন্যবাদ না বলার অভিযোগে মিথ্যাভাবে জেলেনস্কিকে অভিযুক্ত করেছে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুনইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য জেলেনস্কিকে পদত্যাগ করতে হতে পারে: ট্রাম্পের উপদেষ্টা৯ ঘণ্টা আগেতবে জেলেনস্কি ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন, তিনি দুঃখ প্রকাশ করবেন না। ক্ষমা চাইবেন না। ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া খনিজ চুক্তি করবেন না।
চলতি মাসেই জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার বিনিময়ে পদত্যাগ করতে রাজি থাকার কথা বলেছিলেন তিনি।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সংগতি রেখে কিয়েভের এই জোটে যোগদানের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরও পড়ুনইউরোপ কি যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া ইউক্রেনে শান্তি নিশ্চিত করতে পারবে০২ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনরোজমেরি চিকেনসহ যেসব খাবার না খেয়েই হোয়াইট হাউস ছেড়েছিলেন জেলেনস্কি২২ ঘণ্টা আগে