২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি, কান্নাজড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা
Published: 18th, January 2025 GMT
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এতে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তিনি ও তার বোনের দেশ ছাড়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও অডিও ক্লিপটি পোস্ট করা হয়েছে। এতে শেখ হাসিনা বলেছেন, মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি আমরা। খবর এনডিটিভির
তবে এনডিটিভি ভাইরাল হওয়া শেখ হাসিনার অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করতে পারে নি।
অডিও ক্লিপে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি আমরা। আমি ২১ অগস্টের হামলা থেকে বেঁচেছি। কোটালিপাড়ায় বোমা হামলা থেকে বেঁচেছি, ৫ অগস্টের হামলা থেকে বেঁচেছি। নিশ্চয়ই আল্লাহর ইচ্ছে রয়েছে। নয়তো আমি এ বার বাঁচতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যেভাবে প্ল্যান করেছিল আমাকে হত্যা করার সেটা পরবর্তীতে আপনারা দেখেছেন। তবুও এটা আল্লাহর একটা রহমত। আল্লাহ আমাকে দিয়ে আরও কিছু কাজ করাতে চান বলেই হয়তো আমি এখনও বেঁচে আছি। যদিও আমার কষ্ট হচ্ছে, আমি আমার দেশ ছাড়া, ঘরছাড়া। তারা সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে ভারতেই বসবাস করছেন তিনি। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কি না সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ গণঅভ য ত থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষকের ৮ টাকার লেবু কয়েক হাত বদলের পর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়
দেশের উত্তরাঞ্চলে সবজির অন্যতম বড় পাইকারি মোকাম বগুড়ার মহাস্থান হাট। পাইকারি এ বাজারে আজ সোমবার বাগানের বড় আকারের একটি লেবু বিক্রি করে চাষি দাম পেয়েছেন ৮ টাকা। ব্যাপারীর একহাত ঘুরে এই লেবু আড়তদারের গুদামে পৌঁছার পর দাম বেড়ে খরচ পড়ে ১০ টাকা। আড়ত থেকে পাইকারদের হাত ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের দোকানের পসরা পর্যন্ত যেতে এই লেবুর দাম বেড়ে হয় ১২ থেকে ১৩ টাকা।
পাঁচ হাত বদলের পর ১২ কিলোমিটার দূরে বগুড়ার শহরের ফতেহ আলী ও রাজাবাজারে এই লেবু খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাদের কিনতে হয়েছে প্রতিটি ২০ টাকা দরে। সেই হিসাবে প্রতিটি লেবুতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভ করছেন ১২ টাকা।
বগুড়ার মহাস্থান ও রাজাবাজারে লেবু বিক্রি করতে আসা কৃষক, ব্যাপারী, আড়তদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী-ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে লেবুর উৎপাদক পর্যায়ে থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত ধাপে ধাপে দাম বৃদ্ধির এই চিত্র পাওয়া গেছে।
মহাস্থান হাটে আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, বাগান থেকে লেবু তুলে বস্তায় ভরে হাটে বিক্রি করতে এসেছেন চাষিরা। ব্যাপারীরা চাষিদের কাছ থেকে দরদাম করে এই লেবু কিনছেন।
হাটে আসা পাইকার রিফাত হাসান বলেন, স্বাভাবিক সময়ে হাটে ১ লাখ লেবুর সরবরাহ হয়। রোজা উপলক্ষে লেবুর চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। কিন্তু এখন লেবুর মৌসুম না হওয়ায় সরবরাহ আগের মতোই আছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় লেবুর দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী।
সদর উপজেলার কাজী নুরইল গ্রামের কৃষক ও লেবুচাষি আসহানুল কবির বলেন, তিনি এ বছর ৩ হাজার ৫০০ গাছের লেবুবাগান গড়েছেন। এক মাস পর বাগানের লেবু পুরোদমে বিক্রি করা সম্ভব হবে। এবার লেবুর ফলন খুব কম। ইতিমধ্যে বাগানের কিছু লেবু বাজারে বিক্রিও করেছেন। এবার বাগান থেকে প্রতিটি লেবু বিক্রি করে গড়ে আট টাকা দাম পেয়েছেন।
নন্দীগ্রাম উপজেলার চাকলমা গ্রামের লেবুচাষি শাহনাজ বেগম বলেন, রোজার আগে বাগানের লেবু বিক্রি করে দাম পেয়েছেন গড়ে দুই থেকে আড়াই টাকা। এখন বাগানে নতুন করে ফুল এসেছে। দেড় মাস পর বাগান থেকে লেবু বিক্রি করা শুরু হবে। এখন বাজার থেকে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে লেবু কিনতে হচ্ছে।
মহাস্থান হাটের আড়তদার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চাষি ও পাইকারদের হাত ঘুরে আড়ত পর্যন্ত আসার পর একটি লেবুর খরচ পড়ে ১২ টাকা। আড়ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই লেবু কিনে নিয়ে আরও ২ থেকে ৩ টাকা লাভ করেন। আরও এক হাত বদলের পর খুচরা ব্যবসায়ীরা এই লেবু প্রতিটি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছেন।
প্রতিটি লেবুতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভ করছেন ১২ টাকা। আজ সোমবার বিকেলে বগুড়া সার্কিট হাউসের সামনের সড়কে