ফরিদপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমকে সংগঠনের সাধারণ সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

শনিবার (১৮ জনুয়ারি) কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের নির্দেশক্রমে সহ দপ্তর-সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।

ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । 

আরো পড়ুন:

বরিশালে তাঁতী দলের মতবিনিময় সভা

বিএনপির পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে: চরমোনাই পীর

বহিষ্কৃত নুরুল আলম ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা যুবদলের পদ প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ সভায় তথ্য গোপন করে উপস্থিত হওয়া, ইতোমধ্যে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ফরিদপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য সহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতার কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাংগঠনিকভাবে তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ য বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেস ক্লাবের জমিতে ঘর তুললেন যুবদল নেতা 

জেলা প্রশাসক থেকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কসবা প্রেস ক্লাবের চার শতক জমিতে রাতের আঁধারে ঘর তুললেন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম। শুধু জমি দখল করেই ক্ষান্ত হননি, সাংবাদিকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

জানা যায়, প্রেস ক্লাবের স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য সাংবাদিক কার্তিক কর্মকারের কাছ থেকে দুই শতক জমি কেনা হয়। কার্তিক কর্মকার আরও দুই শতক জমি দান করেন। ২০১৭ সালে ২৪ মে দলিল রেজিস্ট্রি হয়। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে বাউন্ডারি নির্মাণ করে দেন। ২০২২ সালে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কসবা প্রেস ক্লাবকে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা নান্দনিক প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণ করার ঘোষণা দিলে পৌরসভা থেকে মাটি পরীক্ষা, ভবনের নকশাসহ যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর জাহাঙ্গীর আলম লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ওই জমি ঘিরে থাকা ২৪টি বাউন্ডারি পিলার ভেঙে রড, সিমেন্ট, বালি, কংক্রিটসহ ১০-১১ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যান। সেখানে ভবনের কাজ শুরু করতে চাইলে প্রেস ক্লাব সভাপতি ও সংগঠনের অন্য সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতেও অভিযোগ করা হয়। আদালতের নির্দেশে কসবা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলমকে ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নোটিশ দেন। নোটিশ পেয়েও জাহাঙ্গীর লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে রাতের আঁধারে সেখানে ঘর তুলেছেন। 

কসবা থানার ওসি আবদুল কাদিরসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ পেয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তিনি রাজি হননি। তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তাঁর ভাই বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসকেও জানানো হয়েছে। এর পরও তিনি কথা শোনেননি। উল্টো পুলিশকে হুমকি দিচ্ছেন। 

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম স্বপন বলেন, জাহাঙ্গীর আলম আরও অনেকের জায়গা দখল করে বিএনপির মুখে চুনকালি দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। 

কসবা-আখাউড়ার বিএনপির সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া জানান, ভূমিদস্যূ ও জুলুমবাজদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এরা বিএনপির নাম বিক্রি করে ফায়দা লুটছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রেস ক্লাবের জমিতে ঘর তুললেন যুবদল নেতা