ফরিদপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমকে সংগঠনের সাধারণ সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

শনিবার (১৮ জনুয়ারি) কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের নির্দেশক্রমে সহ দপ্তর-সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।

ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । 

আরো পড়ুন:

বরিশালে তাঁতী দলের মতবিনিময় সভা

বিএনপির পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে: চরমোনাই পীর

বহিষ্কৃত নুরুল আলম ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা যুবদলের পদ প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ সভায় তথ্য গোপন করে উপস্থিত হওয়া, ইতোমধ্যে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ফরিদপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য সহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতার কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাংগঠনিকভাবে তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ য বদল র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ