আহত মেহের আফরোজ শাওন, দিলেন দুর্ঘটনার বিবরণ
Published: 18th, January 2025 GMT
দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নিউ মার্কেট এলাকায় এই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। ঘটনার বিবরণ দিয়ে শনিবার বিকেলে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন শাওন।
মেহের আফরোজ শাওন লিখেছেন, ঘটনা খুবই সরল ও অনাড়ম্বরপূর্ণ। বড় ছেলে নিষাদ হুমায়ূনকে নিয়ে গিয়েছিলাম নিউমার্কেট তার বাবার প্রিয় বাজারে। সুন্দরভাবে কাজ শেষ করে গাড়ির কাছে ফিরছিলাম। জুম্মার সময়, দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট। নিউমার্কেটের ভেতরের অংশের চলাচলের রাস্তায় বসা মুসুল্লিদের নামাজ প্রায় শেষের দিকে। রাস্তা একদম ফাঁকা। ডান বাম ভালো করে দেখে যেই না রাস্তা পার হওয়া ধরেছি, কোথা থেকে মাটি ফুঁড়ে এলো ‘বাংলার টেসলা’ খ্যাত এক অটোচালিত রিকশা! কোনোরকম বেলের টুংটাং না করে “আআআপুউউউ.
পরের ঘটনা উল্লেখ করে শাওন লিখেছেন, টেসলার চালককে ধন্যবাদ, তিনি পালিয়ে না গিয়ে নিজের দোষ কিছুটা স্বীকার করেছেন। আশেপাশে থেকে ছুটে আসা মানুষদের ধন্যবাদ, নানা জ্ঞান দিয়ে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টার জন্য। কৃতজ্ঞতা সেই চা দোকানদারের প্রতি, যিনি নিজ দোকানের ফিল্টার পানির জার পুরোটা ঢেলে আমার পায়ে তাৎক্ষণিক আরাম দিয়েছেন।
অভিনেত্রী লিখেছেন, অর্পিতা, তুই সাথে না থাকলে কীভাবে যে ঐ সময়টুকু সামলাতাম জানি না। চোখের সামনে থেকে অন্ধকার সরার পর দেখলাম নিজের পুরো শরীরের ভার তোর উপর ছেড়ে আমি ঢলে পড়েছি আর তুই ঠাণ্ডা মাথায় আমাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিস, পাশাপাশি ঘটনার আকস্মিকতায় নার্ভাস হয়ে পড়া নিষাদকে সামাল দিচ্ছিস! শুধু মুখে মুখে ‘শাওন মা’ না তুই আমার শক্তপোক্ত মেয়ের দায়িত্ব-ই পালন করে দেখালি। আমি তোকে নিয়ে গর্বিত।
নিজের শরীরের বর্তমান আপডেট জানিয়ে শাওন বলেছেন, পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ায় পা ভাঙেনি। তবে পেশী ও কোমল টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ণ বিশ্রাম আর ওষুধে আগামী কিছুদিনের মধ্যে সেরে যাবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার।
এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।