নিহত ছোট দুই ভাইয়ের মতোই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছে  মোঃ জুয়েল (৪৫) নামের এক যুবক।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর রেলস্টেশন  এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  এর আগে ২০০৫ সালে নিহতের ছোট ভাই

 রুবেল  এবং সাকিব ২০১৮ সালে পারিবারিক  কলহের কারণে গলায় ফাঁস নিয়ে নিজ বাড়িতেই আত্যহত্যা করেন।

মৃত জুয়েল দাপা এলাকার আঃ আজিজের ছেলে। তিনি বুয়েটের ওয়ার্কসপে চাকুরী করতেন। জুয়েলের দুটি শিশু ছেলে রয়েছে।  

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার জমির জন্য বাবা ও বড় বোনের সাথে জুয়েলের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তারা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ঘরের চালের আরার সাথে রশি দিয়ে ঝুলে আত্যহত্যা করেন তিনি। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’

ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।

দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।

ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্‌যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’

ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী

সম্পর্কিত নিবন্ধ