বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফিকে তিনদিনে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাফির হোয়াটসঅ্যাপে এ হুমকি দেন তিনি। বিষয়টি নিজ ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান রাফি। এ সময়, তাকে হত্যা করা হলে বর্তমান সরকারের সুশীলতাকে দায়ী করে অভিযোগ করেন তিনি।

ওই পোস্টে রাফি লেখেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী গোলাম রাব্বানী আজকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। প্রথম ১২ জুলাই ২০২৪ ইং আমাকে কল দেয় এবং জিজ্ঞেস করে, আমার কি লাগবে। এছাড়াও বিভিন্নভাবে কনভিন্স করার চেষ্টা করে। সবশেষে যখন কনভিন্স করতে পারেনি, তখন আমাকে নানানভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে কল কেটে দেয়।”

তিনি আরো লেখেন, “ঠিক একই নাম্বার থেকে আজ (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কল দেয়। প্রথম কলটা রিসিভ করিনি। দ্বিতীয় কলটা রিসিভ করার পর জিজ্ঞেস করলো- চিনতে পেরেছি কি না! আমি চিনেও বললাম, না চিনতে পারিনি। তারপর কল কেটে দেয় এবং সাথে সাথেই ম্যাসেজ করলো, ‘Tumi ses hoye jabe only 3 day bro’ ।”

রাফি বলেন, “আমি জানি না, আমি আর কতদিন বাঁচতে পারবো! প্রতিনিয়ত এমন অহরহ হুমকি আসছে। কিন্তু আমাকে যদি হত্যা করা হয়, তাহলে এই সরকারের সুশীলতা দায়ী থাকবে।”

রাফি আরও বলেন, “আমি গত ১১ই জুলাই মরে গেছি; আমারে মৃত্যুভয় দেখিয়ে লাভ নাই। আর জুলাইয়ে আমাকে কিনতে পারো নাই, দাবায় রাখতে পারো নাই: এখনও পারবা না। ৩ আগস্ট আম্মা আমারে বলছিলো, ‘যা করবা বীরের মতো মাথা উঁচায়া করবা।’ এটাই আমার বাকি ছিলো, এটাও পেয়ে গেছি। আমার আর কোনো প্রাপ্তি নাই। শুধু একটাই চাওয়া বাংলাদেশ ভালো থাকুক।”

হুমকি বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক তালাত মাহমুদ রাফিকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আ.লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের ‘শহীদি স

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকালে গণহত্যাসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে ‘শহীদি সমাবেশ’ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শহীদি সমাবেশে চারটি দাবি তুলে ধরেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।

ইনকিলাব মঞ্চের দাবিগুলো হলো:
১. আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

২. শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিষয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।

৪. দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে স্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শহীদি সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেছেন, “দাবি আদায়ে আগামী ১০০ দিন দেশের ৬৪ জেলায় গণসংযোগ চালানো হবে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ‘মার্চ ফর বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ থেকে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।

শহীদি সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ