এসএসএফ ডিজির বাসায় অপরাধে অভিযুক্ত আলী হুসাইন শিশিরকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

শনিবার এসএসএফের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

প্রেস উইং জানায়, এসএসএফের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আলী হুসাইন নিজেকে নরসিংদীর একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বৈধ চুক্তির মাধ্যমে ডিজির ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। ১৮ জানুয়ারি ভোররাত ৩টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে এলে ডিজি তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অপরাধে অভিযুক্তকে বাসায় আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। অভিযোগ করা পোস্টগুলো পুরোপুরি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই এসএসএফের ডিজি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলোর নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এটি অত্যন্ত দায়িত্বহীন একটি কাজ। এই ধরনের প্রচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসএসএফ ডিজি ও সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ