বলিউডে যেন একের পর এক দুঃসংবাদ। সাইফ আলী খানের ওপর হামলা, সড়ক দুর্ঘটনায় আমান জয়সাওয়ালের মৃত্যুর পর তালিকায় অর্জুন কাপুরের নাম। দুঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এই অভিনেতা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অর্জুন ও ভূমি মুম্বাইয়ের রয়্যাল পামসের ইম্পেরিয়াল প্যালেসে তাদের আসন্ন ছবি ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’র একটি গানের শুটিং করছিলেন। তখনই ভেঙে পড়ে ছাদের টাইলস। অর্জুন ছাড়াও এ ঘটনায় জখম হয়েছেন ছবির প্রযোজক জ্যাকি ভাগনানি, পরিচালক মুদাসসির আজিজ।

গানটির নৃত্য পরিচালক বিজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা মনিটর করছিলাম। হঠাৎ ছাদের একটি বড় অংশ ভেঙে পড়ে। ভাগ্যক্রমে, পুরো ছাদ ভেঙে পড়েনি। পুরোটা আমাদের ওপর পড়লে আঘাত গুরুতর হতো।’

ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের অশোক দুবে জানান, অর্জুন, ছবির পরিচালক, প্রযোজকের পাশাপাশি ছবির বাকি কলাকুশলীরাও অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। অশোক নিজেও কনুই ও মাথায় চোট পেয়েছেন। চিত্রগ্রাহক মনু আনন্দের বুড়ো আঙুল ভেঙে গেছে। তবে কারও আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, যে বাড়িটিতে শুটিং হচ্ছিল সেটি বেশ পুরনো ও ভঙ্গুর। বেশ কিছু দিন ধরে সেখানে টানা শুটিং হচ্ছিল। লাগাতার শব্দের কম্পনে সম্ভবত নড়বড়ে বাড়িটি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে। সেকারণেই ভেঙে পড়ে ছাদের টাইলস। সূত্র: নিউজ১৮।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ