সাইফ আলী খানের পর এবার আহত অর্জুন কাপুর
Published: 18th, January 2025 GMT
বলিউডে যেন একের পর এক দুঃসংবাদ। সাইফ আলী খানের ওপর হামলা, সড়ক দুর্ঘটনায় আমান জয়সাওয়ালের মৃত্যুর পর তালিকায় অর্জুন কাপুরের নাম। দুঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এই অভিনেতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অর্জুন ও ভূমি মুম্বাইয়ের রয়্যাল পামসের ইম্পেরিয়াল প্যালেসে তাদের আসন্ন ছবি ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’র একটি গানের শুটিং করছিলেন। তখনই ভেঙে পড়ে ছাদের টাইলস। অর্জুন ছাড়াও এ ঘটনায় জখম হয়েছেন ছবির প্রযোজক জ্যাকি ভাগনানি, পরিচালক মুদাসসির আজিজ।
গানটির নৃত্য পরিচালক বিজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা মনিটর করছিলাম। হঠাৎ ছাদের একটি বড় অংশ ভেঙে পড়ে। ভাগ্যক্রমে, পুরো ছাদ ভেঙে পড়েনি। পুরোটা আমাদের ওপর পড়লে আঘাত গুরুতর হতো।’
ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের অশোক দুবে জানান, অর্জুন, ছবির পরিচালক, প্রযোজকের পাশাপাশি ছবির বাকি কলাকুশলীরাও অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। অশোক নিজেও কনুই ও মাথায় চোট পেয়েছেন। চিত্রগ্রাহক মনু আনন্দের বুড়ো আঙুল ভেঙে গেছে। তবে কারও আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, যে বাড়িটিতে শুটিং হচ্ছিল সেটি বেশ পুরনো ও ভঙ্গুর। বেশ কিছু দিন ধরে সেখানে টানা শুটিং হচ্ছিল। লাগাতার শব্দের কম্পনে সম্ভবত নড়বড়ে বাড়িটি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে। সেকারণেই ভেঙে পড়ে ছাদের টাইলস। সূত্র: নিউজ১৮।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা
পটুয়াখালীর দুই সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে কামরুজ্জামান জুয়েল নিজেকে মির্জাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন।
আসামিরা হলেন– দৈনিক সমকালের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এম কে রানা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী এলাকার বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার।
গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক সমকালে ‘চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর বিএনপি নেতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই দিন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনলাইনে ‘মাসে ৫০ হাজার টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধের হুমকি বিএনপি নেতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মাসুম হাওলাদার তাঁর ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সংবাদগুলো ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলো বাদীর সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
এ ব্যাপারে মুফতী সালাহউদ্দিন ও এম কে রানা জানান, কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন নয়, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছেন তারা। এমন কিছু না ঘটলে রাসেল মৃধা অভ্যন্তরীণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার দাবি করে অভিযোগ প্রত্যাহারে কেন থানায় আবেদন করেছেন?
এদিকে মামলাটি নিয়ে পটুয়াখালীর সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এটি করা হয়েছে জানিয়ে দ্রুত মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।