ওয়াজ মাহফিলে সুদের বিরুদ্ধে বয়ান, হাসনাত আবদুল্লাহর ভিডিও ভাইরাল
Published: 18th, January 2025 GMT
ওয়াজ মাহফিলে সুদের বিরুদ্ধে আলোচনা করার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন মঞ্চে হাসনাতকে কথা বলতে দেখা গেলেও এই প্রথম কোনো মাহফিলে বয়ান দিতে দেখা গেলো তাকে।
ইতোমধ্যেই নেটিজেনদের নজর কেড়েছে ভিডিওটি। ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পাঞ্জাবি ও টুপি পরে মাহফিলে আলোচনা করছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে তার নিজগ্রাম দেবিদ্বার উপজেলার গোপালনগরে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে তিনি সুদের বিরুদ্ধে ওই আলোচনা করেন।
ভিডিওর শুরুতেই তাকে বলতে শোনা যায়, কার কাছে অপ্রিয় হলাম, কার পছন্দ হলো না, সেটা মুখ্য না। মুখ্য হচ্ছে আমার ইসলাম আমাকে কী বলে। আমার দ্বীন আমাকে কী শিক্ষা দেয়। সেটা যদি অপছন্দেরও হয় সেটাই আমাদের বলতে হবে।
হাসনাত আরও বলেন, আমি যেহেতু এই গ্রামে ছিলাম, এই গ্রামের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই গ্রামে এক ধরনের অর্থনৈতিক বিনিময় প্রচলিত রয়েছে। যেটাকে আপনারা নাম দেন পত্তন। এটাকে যে নামেই ডাকেন না কেন, এটা সরাসরি সুদ। আমার পরিবারসহ আশপাশে অনেকেই আছেন, এই ধরনের বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু আমরা যখন বুঝেছি, যখন পড়াশোনা করে জেনেছি, আলেমদের থেকে পরামর্শ নিয়েছি, বিশ্বাস করেন সেই দিন থেকে আমরা এই পথ থেকে ফিরে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, এই যে আমরা দেখি- টাকা থেকে টাকা বৃদ্ধি পায়, এটা অসংখ্য পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয়। আপনি আমাকে অপছন্দ করেন, সেটা আমার দেখার বিষয় না। কিন্তু সুদকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা সুদকে বন্ধ করে দেন। আপনারা যদি আমাদের সহায়তা করেন, আমরা চেষ্টা করব সামাজিক ঋণকে সহজলভ্য করার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ইসলাম তো পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম দুনিয়া নিয়েও কথা বলে, দুনিয়া পরবর্তী বিষয় নিয়েও কথা বলে। আমাদের দুইটারই সমন্বয় ঘটাতে হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।