মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অতিরিক্ত সচিবের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ওই ঘটনায় লুন্ঠিত ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সামসুল আলম সরকার।

তিনি জানান, ডাকাতির ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করে। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতদের অবস্থান সনাক্ত করে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে গত কয়েকদিনে ওই ৭ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুন্ঠিত মালামাল ও ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার শিবরামপুর এলাকায় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিম খানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি সেলিম খানের বোন রওশন আরা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/রতন/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড ক ত র ঘটন ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন, ঢাকার রাস্তায় আটকে গেলেন পার্থ বড়ুয়া

২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল সোলস ব্যান্ডের ৫০ বছর পূর্তির পথচলা। এরপর দেশে ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। ৫০ বছর পূর্তির এই আয়োজন এখনো চলছে। চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা ব্যান্ড সোলস এবার তাদের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান চট্টগ্রামেও করতে যাচ্ছে। আগামী ২ মে চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেলে গাইবে সোলস।

এ উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের একটি তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সোলসের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও শেষ মুহূর্তে থাকতে পারেননি পার্থ বড়ুয়া। ঢাকার রাস্তায় তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার পর বাসায় ফিরে যেতে হয় পার্থ বড়ুয়াকে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রথম ব্যাচের তিন শিক্ষার্থী সাজেদ, সুব্রত বড়ুয়া ও আহমেদ নেওয়াজ। এর বাইরে ছিলেন দুলু ও তপন চৌধুরী—এই পাঁচজন মিলে শুরুর দিকের ব্যান্ড সোলস। সেই সময়ের কথা মনে করে আহমেদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে জানান, শুরুতে সোলস ভেঙে যায়। এরপর তাঁরা আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের মতো। সোলসের কিছু ইনস্ট্রুমেন্ট নিজেরাই কিনে ফেলেন। তখন সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন। রনি, আহমেদ নেওয়াজ, সাজিদ। এরপর আবার শুরু করেন। এসব ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা।

এই বছরে ৩ আগস্ট চারুকলা অনুষদের যাত্রা শুরু। তপন, দুলু আর রনির বাসা ছিল একই জায়গায়। কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে, সোলস ব্যান্ড করার অনুপ্রেরণা হচ্ছে লাইটেনিংস। চট্টগ্রামের সংগীত ভবনের ওপরতলায় লাইটেনিংস নামে একটা দল ছিল, যারা বিটলসকে অনুসরণ করত। বিটলস যা যা ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করত, লাইটেনিংস সবই করত। সোলসের সবাই তখন অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকত, এত বিউটিফুল সাউন্ড কোথা থেকে আসছে। ওখান গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। এরপর আস্তে আস্তে নিজেরা সংগঠিত হতে থাকে। ছোট ছোট বিয়ের অনুষ্ঠান ও হোটেলের অনুষ্ঠানে গান গাইতে থাকে। এভাবেই শুরু সোলসের যাত্রা।

সংবাদ সম্মেলনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ