জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাছিরকে একই অনুষ্ঠানে দেখা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে তাদের এক অনুষ্ঠানে থাকার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এর আগে, একই দিন সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় তাদের দেখা যায় বলে অভিযোগ উঠে। শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসে ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে অতিথিদের সামনে ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কাস ইউনিয়নের পক্ষে বহিষ্কৃত নাছির বক্তব্য রাখছেন। এ সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কাস ইউনিয়নের বহিষ্কৃত সভাপতি ও অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জুবায়ের জাকির। বক্তব্যের শুরুতে নাছির মঞ্চে উপস্থিত প্রধান অতিথি, সভাপতি ও ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের পরিচয় দেন।

গোলাম নাছির তার বক্তব্যে বলেন, ‘‘আমি ২২ বছর ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। এই সময় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন যখন যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আমরা শ্রমিক ফেডারেশনে সঙ্গে থেকেছি। বিগত দিনেও আমরা শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে কাজ করেছি, আগামীতেও করব।’’

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলার অভিযোগে নাসিরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়েছে। সেই থেকে পলাতক তিনি।

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আসাদউজ্জামান বলেন, ‘‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি দেখেছি। গোলাম নাছিরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।’’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে ফরিদপুরের অন্যতম সমন্বয়ক আবরাব নাদিম ইতু বলেন, ‘‘গত বছরের ৩ ও ৪ আগস্ট নাছির তার সহযোগীদের নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার ওপর প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে আমরা তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’’

ঢাকা/তামিম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সালাহ, কেইন, না লেভা—সোনার জুতার লড়াইয়ে কে কোথায়

এবার কি তবে অবশেষে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিততে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সালাহ?
আভাস সে রকমই। তবে মৌসুমের শেষে এসে যদি রবার্ট লেভানডফস্কি বা হ্যারি কেইন অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলেন, আরও একবার হতাশ হতে হবে লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ডকে। আরও একবার কথাটা বলা হচ্ছে, কারণ আগেও বেশ কয়েকবার এই পুরস্কার জেতার খুব কাছে গিয়েছিলেন সালাহ, শেষ পর্যন্ত জিততে পারেননি। অন্যদিকে লেভানডফস্কি, কেইন কিংবা আর্লিং হলান্ডের এরই মধ্যে সৌভাগ্য হয়েছে পুরস্কারটি জেতার।

ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু কী

সহজ কথায়, প্রতি মৌসুমে ইউরোপের প্রতিটি দেশের সর্বোচ্চ লিগগুলোর মধ্যে যিনি সবচেয়ে বেশি গোল করেন, তাঁকে দেওয়া হয় সোনার বুট, যে পুরস্কারের আনুষ্ঠানিক নাম ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু।
এমনিতে ইউরোপের সব লিগই আলাদা করে প্রতি মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে গোল্ডেন বুট পুরস্কার দেয়। তবে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু তাঁকেই দেওয়া হয়, যিনি পুরো ইউরোপে সব লিগ মিলিয়ে গোলের জন্য সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পান। পয়েন্ট হিসাব করা হয় গোলসংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট লিগের মানের ওপর ভিত্তি করে।  

লিগে ৩৩ ম্যাচে সালাহ গোল করেছেন ২৭টি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ