লালমনিরহাটে মাহফিল মঞ্চে মিজানুর রহমান আজহারী
Published: 18th, January 2025 GMT
লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী সোহরাওয়ারদী মাঠের মাহফিল মঞ্চে পৌঁছেছেন দেশের আলোচিত ইসলামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে মাহফিল ময়দানে উপস্থিত হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা “নারায়ে তাকবীর” ধ্বনিতে তাকে স্বাগত জানান। দুপুর ২ টা ১০ মিনিটে তিনি বয়ান শুরু করেন।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ধর্মীয় নেতারা। মাহফিলকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ধর্মীয় অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত লাখো মানুষের ঢল উপচে পড়েছে মাহফিল মাঠ এবং এর আশপাশে।
আয়োজক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, মাহফিলে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনটি বড় মাঠে আগেই প্যান্ডেল তৈরি করা হলেও স্থান সংকুলান করতে আয়োজকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাহফিলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পাশাপাশি যানবাহনের নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আয়োজকদের একজন বলেন, “আজহারী সাহেবের বয়ান শোনার জন্য দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। মানুষের এমন ভালোবাসা আমাদের আপ্লুত করেছে।”
উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান আজহারীর আগমনের খবরে গতকাল থেকেই লালমনিরহাট শহর ও আশপাশের এলাকায় ধর্মপ্রাণ মানুষের ভিড় বেড়ে গেছে। মাহফিলের মাধ্যমে ইসলামের শিক্ষা ও মূল্যবোধ প্রচারে আজহারীর বক্তব্য শোনার জন্য সবার মধ্যে আগ্রহ যেন তুঙ্গে।
ঢাকা/আমিরুল/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’