লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী সোহরাওয়ারদী মাঠের মাহফিল মঞ্চে পৌঁছেছেন দেশের আলোচিত ইসলামী বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে মাহফিল ময়দানে উপস্থিত হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা “নারায়ে তাকবীর” ধ্বনিতে তাকে স্বাগত জানান। দুপুর ২ টা ১০ মিনিটে তিনি বয়ান শুরু করেন।

এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ধর্মীয় নেতারা। মাহফিলকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ধর্মীয় অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত লাখো মানুষের ঢল উপচে পড়েছে মাহফিল মাঠ এবং এর আশপাশে।

আয়োজক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, মাহফিলে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনটি বড় মাঠে আগেই প্যান্ডেল তৈরি করা হলেও স্থান সংকুলান করতে আয়োজকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাহফিলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পাশাপাশি যানবাহনের নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আয়োজকদের একজন বলেন, “আজহারী সাহেবের বয়ান শোনার জন্য দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। মানুষের এমন ভালোবাসা আমাদের আপ্লুত করেছে।”

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান আজহারীর আগমনের খবরে গতকাল থেকেই লালমনিরহাট শহর ও আশপাশের এলাকায় ধর্মপ্রাণ মানুষের ভিড় বেড়ে গেছে। মাহফিলের মাধ্যমে ইসলামের শিক্ষা ও মূল্যবোধ প্রচারে আজহারীর বক্তব্য শোনার জন্য সবার মধ্যে আগ্রহ যেন তুঙ্গে।

ঢাকা/আমিরুল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ