ঢাকার ধামরাইয়ে ট্রাকের ধাক্কায় জাফর হোসেন (৫৫) নামের এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৪ জন।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল বাইপাস সড়কের ডেমরান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জাফর হোসেন উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের গুতুইল এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে।

আহতরা হলেন- হাবিবুর রহমান (৩৬), আমীর হোসেন (২৫) ও জাহিদ হোসেন (২৬)। তাৎক্ষণিক অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।

আরো পড়ুন:

হাতিরঝিলে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত এক

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলের তিন আরোহী নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ধামরাইয়ের আমতলা এলাকা থেকে অটোরিকশাযোগ ৪ জন ঢুলিভিটার দিকে যাচ্ছিলেন। ডেমরান এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়, আহত হন ৪ জন।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/সাব্বির/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

পর্তুগালের মেধাবী তরুণেরা কেন দেশ ছাড়তে চান

পর্তুগালের মেধাবী তরুণদের অনেকেই বিদেশে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের ধরে রাখতে সরকার কর কমানোর মতো উদ্যোগ নিয়েছে। তারপরও তরুণেরা দেশে থাকতে চান না। কিন্তু কেন?

পর্তুগালের একজন নার্স রিটা ব্রাঙ্কো বলছেন, ‘জীবনযাপনের খরচ বাড়ছে, কিন্তু সে অনুপাতে বেতন বাড়ছে না।’

সদ্য চিকিৎসাবিদ্যায় পড়াশোনা শেষ করা কারোলিনা আজেভেদোও দেশ ছাড়তে চান। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘প্রথম বছরের মূল বেতন প্রতি মাসে ১ হাজার ৭০০ ইউরো। আমি এক বছর পর্তুগালে কাজ করব যেন অর্থ সাশ্রয় করতে পারি। আর জার্মান ভাষাটা শিখতে পারি। বড় শহরগুলোতে বাসাভাড়া হিসেবে আপনাকে প্রায় ৮০০ বা ৯০০ ইউরো দিতে হয়।’

এক বছর কাজ করার পর আর দেশে থাকতে চান না কারোলিনা। কারণ, তিনি শুধু বেতন নিয়ে হতাশ নন।

পড়াশোনার সময় কারোলিনা বিদেশে ইন্টার্নশিপ করেছেন এবং সেখানে সবকিছু কীভাবে চলে, তা দেখেছেন। তাই তিনি এখন জার্মান ভাষা শিখতে চান, যেন তিনি সুইজারল্যান্ডে চাকরির আবেদন করতে পারেন।

কারোলিনা বলেন, ‘আমার ভাই সেখানে কাজ করে। তার কাছ থেকে আমি সরাসরি তথ্য পাই। সে কারণে আমি নিশ্চিত যে আমি কোনো মায়ার পেছনে ছুটছি না।’

পর্তুগালের সমস্যাগুলোর কথা রাজনৈতিক বিলবোর্ডে লেখা আছে—খুব কম জরুরি কক্ষ, আবাসনের অভাব এবং অবশ্যই মেধা পাচার। পর্তুগিজ সরকার জানে, অনেক তরুণ দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন এবং সে কারণে তারা তাঁদের কর মওকুফ করতে চায়।

তরুণেরা দেশ ছাড়ছেন কেন

কর–বিষয়ক সরকারি কর্মকর্তা ক্লাউদিয়া দুয়ার্তে বলেন, ‘এক দশক ধরে আমরা একটি মৌলিক জনসংখ্যাগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছি। বর্তমানে ভৌগোলিকভাবে পর্তুগালের কাছাকাছি দেশগুলোর তুলনায় আমাদের কম্পিটিটিভনেস, উৎপাদনশীলতা এবং বেতন কম হওয়ার সমস্যা আছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ উদ্যোগ সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ তরুণ-তরুণীর ওপর প্রভাব ফেলতে পারবে।’

লিসবনকে স্টার্টআপের মক্কা বিবেচনা করা হয়। বায়োটেক কোম্পানি মাইক্রোহার্ভেস্টের মতো আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কোম্পানির শাখা লিসবনের ট্যাগাস নদীর তীরে আছে, যেমনটা আছে জার্মানির হামবুর্গেও।

মাইক্রোহার্ভেস্টের প্রতিষ্ঠাতা লুসিয়া ক্রুজ বলেন, ‘লিসবনে আমাদের উপস্থিতির মাধ্যমে আমরা দেখাতে চাই, এখানেও উদ্ভাবনী কাজ করা সম্ভব এবং সেটার সুযোগ আছে।’

পর্তুগালে বড় ও মাঝারি কোম্পানির অভাব আছে। আর করের বোঝা এতটাই বেড়েছে যে এমনকি উৎসাহী উদ্যোক্তারাও স্বীকার করছেন, দীর্ঘ মেয়াদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা।

পর্তুগাল তরুণদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দেয়। তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থাও আছে। তারপরও তাঁদের বেশির ভাগই দেশে থাকতে চাইছেন না। যেমন ২৭ বছর বয়সী টিয়াগো। বর্তমানে তিনি লিসবনের একটি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তবে কয়েক মাসের মধ্যে ডেনমার্ক চলে যেতে চান।

টিয়াগো বলেন, ‘আমি দেখেছি, সেখানে কাজ এবং পরিবারের মধ্যে খুব স্পষ্ট ও লক্ষণীয় ভারসাম্য রয়েছে। আমি শুধু বেতনের কথা বলছি না, আমি মানুষের ভালো ব্যবহারের কথা বলছি, সরকারি পরিষেবার মান, এমনকি গণপরিবহনের কথাও বলছি।’

এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, নিজ দেশের তরুণদের ধরে রাখার জন্য শুধু কর কমানোই যথেষ্ট নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ