বগুড়ায় পুলিশি হেফাজত থেকে পালানো আসামি গ্রেপ্তার
Published: 18th, January 2025 GMT
পুলিশি হেফাজতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাই মামলার আসামি শাহাদত হোসেন কলমকে আবারো গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার মহাদেবপুর গ্রামের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান শাহাদত হোসেন কলম।
শাহাদত হোসেন আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম চৌধুরীপাড়ার খোকা মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর বাজারের বিকাশ দোকানীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনের মধ্যে আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের চৌধুরী পাড়ার চয়েন চৌকিদারের ছেলে বাধন নামে একজনকে তিলকপুর বাজারেই ধরে ফেলে জনগণ। অপর দু’জন একই গ্রামের শাহাদত হোসেন কলম ও মোস্তাকিন পালোয়ানের ছেলে রাজু পালোয়ানকে ধাওয়া করে আদমদীঘি উপজেলার আমইলে ধরে ফেলে জনগণ। এ সময় ওই দুইজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে জনগণের মধ্যে কেউ একজন রাজু পালোয়ানের পায়ের রগ কেটে দেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় কলম টয়লেটে যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের পাহারার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ লাইনসের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) এবং দুজন কনস্টেবল।
হাসপাতাল থেকে পালানো শাহাদত হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “মহাদেবপুর গ্রামে শ্যালিকার বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আক্কেলপুর থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে। শাহাদতসহ আরো যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে থানায়।”
এদিকে আসামি পালানোর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বগুড়া পুলিশ লাইনসের রিজার্ভ পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ও কনস্টেবল জাকিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার।
তিনি বলেন, “ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.
ঢাকা/এনাম/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শুধু নারী নয়, পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়: প্রিয়াঙ্কা
ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মডেলিং দিয়ে। বলিউড জয় করে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া হলিউডেও তৈরি করেন নিজের জায়গা। অথচ তাকেও নাকি একটা সময় বিনা কারণে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। বলিউডের কালো দিক প্রকাশ্যে এনে তিনি জানালেন, এখানে শুধু নারীরা নয়, পুরুষদেরও হতে হয় যৌন হেনস্থার শিকার।
একটি সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান, তিনি যৌন হেনস্থার শিকার না হলেও বলিউডে ক্ষমতার অপব্যবহারের সম্মুখীন হয়েছেন। ক্ষমতাধর একজন প্রেমিকাকে সিনেমায় নিতে চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
অতীতের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাকেও একটা সময় সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, একজন অন্য কাউকে নিতে বলেছিলেন। আমি একটা সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর তার প্রেমিকাকে ওই সিনেমায় নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে। সেটা তো ক্ষমতার অপব্যবহারই। সে প্রেমিকা অভিনেতার হোক বা পরিচালকের।’
এরপর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কথায় উঠে আসে যৌন হয়রানির কথা। তিনি বলেন, ‘শুধু নারীরা নন, বলিউডে পুরুষরাও কাস্টিং কাউচের শিকার হন। নিম্নমানের এই মানুষগুলো নতুনদের সুবিধা নিতে চান। বড় পরিচালক, প্রযোজকরা কখনই এমন কাজ করেন না। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবতী আমি সবসময়ই ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি।’ সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।