শীতকালকে অনেকে বিয়ের মৌসুম বলে থাকেন। এই মৌসুমে যারা বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন তাদের জন্য শুভকামনা। হবু কনেরা ত্বকের যত্নে একটু বেশিই মনোযোগী হন। রূপচর্চাবিদরা বলেন, ত্বকের যত্নে ক্লিনজার, টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার নিয়ম মেনে ব্যবহার করা ভালো।  এজন্য ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে তারপর টোনার স্প্রে করে নিতে হয়। শেষে মুখে টোনার শুকিয়ে এলে তার উপর মেখে নিতে হয় ময়েশ্চারাইজার। কিন্তু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকে টোনারের খুব একটা ভূমিকা নেই। বরং টোনারের বদলে দিনের বেলা সানস্ক্রিন মেখে নিন। আর রাতে ব্যবহার করুন সিরাম। তাতে ত্বকের ক্ষত নিরাময় হবে। আবার আর্দ্রতাও বজায় থাকবে। 

ভারতীয় চর্মরোগ চিকিৎসক সুরজিৎ গরাইয়ের পরামর্শ—

ভিটামিন ই এবং সি-যুক্ত খাবার খেতে হবে: ত্বক ভেতর থেকে ভালো রাখার জন্য খাবারের ভূমিকা অনেক বেশি। ত্বকের যত্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ভিটামিন হলো ভিটামিন ই এবং সি। শরীরে এই দুইটি ভিটামিনের অভাব যেন না হয়। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখার পাশাপাশি কোলাজেন উৎপাদনেও সাহায্য করে ভিটামিন সি। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে ভিটামিন ই-এর ভূমিকাও কম নয়।
সঠিক ভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে: শুধু মুখের যত্ন নয়, সারা শরীরেরই যত্ন নিন। গোসলের সময়ে এক্সফোলিয়েশন করুন। এরপরে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। ত্বক মশৃণ রাখতে বডি মাস্ক ব্যবহার করুন মাঝেমধ্যে। এতে ত্বক মসৃণ থাকবে। 

আরো পড়ুন:

পনেরো দিন মেকআপ ব্যবহার না করলে ত্বকে যা ঘটে

আজ ‘স্পাইসি ফুড’ খাওয়ার দিন

খাবারে প্রোটিনের অভাব যেন না হয়:ত্বক সতেজ রাখার জন্য  প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। যাতে ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন, অর্থাৎ কোলাজেন এবং ইলাস্টিন উৎপাদনের পরিমাণ ঠিক থাকে। এজন্য ডায়েটে মাছ, মাংস বা ডিম থাকা আবশ্যক।

ভেষজ উপাদানে ত্বকচর্চা: ত্বকের যত্নে কেমিকেল প্রোডাক্টের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন কোম্পানির ফেসপ্যাক, ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে হলুদ, কেশর, মুলতানি মাটির মতো নানা প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপাদানে তৈরি।

আর্দ্রতা বজায় রাখা: শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি। যাতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে সেদিকে খেয়াল করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এবং ত্বকে প্যারাবেন-মুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ