শীতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে যা করবেন
Published: 18th, January 2025 GMT
শীতকাল হার্টের রোগীদের জন্য সুবিধাজনক নয়। এসময় হৃদরোগের ঝুঁকি যেমন বেড়ে যায়, তেমনি বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও। কেননা শীতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অক্সিজেনের প্রয়োজন বেড়ে যায়। আর এ সময় রক্তনালি সরু হয়ে যায়। সরু রক্তনালি দিয়ে হৃদযন্ত্রে কম পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায়। এতেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
শীতকালে সুস্থ থাকতে জীবনযাপনে অনিয়ম না করে, নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে। মানতে হবে কিছু নিয়ম। পাশাপাশি কিছু লক্ষণ দেখলে সচেতন হতে হবে।
১.
২. শীতকালে বার বার কফি পানও ডেকে আনতে পারে বিপদ। রক্তচাপের সমস্যা থাকলে দিনে দুই বারের বেশি কফি পান না করা ভালো।
৩. হার্ট অ্যাটাকের আরও একটি লক্ষণ হল সকালের দিকে বুকে হালকা অস্বস্তি অনুভব। বুকে ব্যথা কিংবা হালকা চাপ অনুভূত হলে এড়িয়ে যাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. মাথা ঘোরা অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা। তবে শীতকালে সকালের দিকে মাথা ঘোরার সমস্যাকে একটু বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। এড়িয়ে গেলে বিপদ হতে পারে।
৫. সুস্থ থাকতে শীতে নিয়মিত শরীরচর্চা, যোগব্যায়াম করুন। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এই সময়ে অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভোগেন অনেকে। রোজ শরীরচর্চা করলে এসব সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’