গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার ৪০টি মাজার ও দরগাহে ৪৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলোর মধ্যে মাজার ও দরগাহে ভাঙচুর, ভক্তদের ওপর হামলা, সম্পত্তি লুট এবং আগুন লাগানোর ঘটনা অন্তর্ভুক্ত।  

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।

প্রেস উইংয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যেখানে ১৭টি হামলার রিপোর্ট করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ১০টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চারবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।

প্রেস উইং জানায়, সবগুলো ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি জিডি থানায় দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। বাকি ১৩টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি জিডির তদন্ত চলমান রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাজার ও দরগাহগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সমস্যার সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণে সচেতনতা কর্মসূচিও চালানো হচ্ছে।  

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাজার ও দরগাহে যেকোনও হামলার বিষয়ে শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করছে। সব পুলিশ ইউনিটকে ঘটনাগুলোর তদন্ত কঠোরভাবে চালানোর এবং জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাজার ও দরগাহগুলোর নিরাপত্তা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে (১৬) এক যুবক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ওই যুবক গত বুধবার অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবার বিষয়টি থানায় জানায়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় আজ শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবকের নাম মো. আবুল কালাম (২৬)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িও একই গ্রামে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারে দাবি, মেয়েটির মা ঢাকায় চাকরি করেন। মেয়ে তার বাবার কাছে গ্রামের বাড়িতে থাকে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই কিশোরীর বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন আবুল কালাম। চার মাস আগে দুজনের মধে৵ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন কালাম। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা বলে জানিয়েছেন। তাঁর সহজ-সরল মেয়েটার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এ জন্য ওই যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে বাসরঘর থেকে আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকেও আদালতে জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ পরিবারের নাম আরও ২৯ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বাদ
  • মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামের সংঘর্ষ, আহত ১৫ 
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক যানচলাচল স্বাভাবিক, কয়েকটি কারখানায় ছুটি
  • গাজীপুরে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে মহাসড়ক অবরোধ, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
  • জামালপুরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
  • ২৭ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন 
  • মাটি কামড়ে নিজের পেশায় টিকে আছেন ময়মনসিংহের মৃৎশিল্পীরা
  • তিন বছরে কাজ হয়েছে ৫৫ শতাংশ, দ্রুত চালুর দাবি এলাকাবাসীর
  • বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, বাসরঘর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার