তেভাগা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা কমরেড অমল সেন এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরে ৩ দিনের স্মরণ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া স্মরণ মেলার শেষ দিন আজ।

১৭ জানুয়ারি ছিল এই কিংবদন্তী কমরেডের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটি আয়োজিত ৩ দিনের এই স্মরণ মেলায় জমায়েত হয়েছেন বর্তমান সময়ের কমিউনিস্ট ব্যক্তিত্বরা।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে স্মরণ মেলার ২য় দিনে বাকড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সরলা সিং মঞ্চে বিশিষ্ট ব্যাংকার বাবু ঘন শ্যাম মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘তেভাগা আন্দোলন বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে অংশ নেন বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক কমরেড আব্দুস সাত্তার, সিপিবির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের অন্যতম নেতা প্রফেসর ডা.

কমরেড হারুন অর রশিদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটির সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড তসলিম উর রহমান, বিপ্লবী যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি মাসুক শাহী, নারী মুক্তি পরিষদের যশোর জেলার অন্যতম নেতা ও  সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বীথিকা বিশ্বাস, বিপ্লবী যুব মৈত্রী যশোর জেলার অন্যতম নেতা আহাদ আলী মুন্না, জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির বাঘারপাড়া উপজেলা কমিটির নেতা অধ্যাপক ইরাদাদ হোসেন নয়ন ও নারী নেতা ভরতি বিশ্বাস। 

আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব বিপুল বিশ্বাস। 

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, “গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে যেয়ে যে কৃষকের সন্তান ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসেন, তাদের কাছ থেকে যারা চাঁদা নেন- তাদের সাথে অমল সেন কখনোই থাকতেন না।”

আলোচনা সভায় তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পণ্যের উপর নতুন করে ভ্যাট আরোপ, বোরো মৌসুমে সার সংকট ও সারের উচ্চমূল্য, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের দাম না পাওয়া ও সাধারণ ছাত্রদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি হামলার সমালোচনা করেন।

ঢাকা/প্রিয়ব্রত/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মরণ ম ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ