বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান। গতকাল শুক্রবার সেন্ট্রাল লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে মাকে দেখতে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান।

হাসপাতালের প্রবেশপথে অপেক্ষমাণ সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মায়ের জন্য দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

তারেক রহমান বলেন, মায়ের কথা যখন বললেন, স্বাভাবিক- দেশবাসীর কাছে একটাই‌ বলবো, উনি দেশনেত্রী। সন্তান হিসেবে দেশবাসীকে বলবো ওনার জন্য দোয়া করার জন্য।

এদিকে, রাতের মধ্যেই খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড বসার কথা ছিল। বোর্ডে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের পাশাপাশি যুক্ত থাকার কথা ছিল লন্ডন ক্লিনিক ও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস হাসপাতালের চিকিৎসকরাও ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা.

এ জেড এম জাহিদ হোসেন ১৭ জানুয়ারির মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের সব রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিলেন।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। যুক্তরাজ্যের দ‍্যা লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত র ক রহম ন ব এনপ ত র ক রহম ন র জন য দ য

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি ‘মুজিব বর্ষ ১০০’ পঞ্জিকার এখন অস্তিত্বই নেই

‘মুজিব বর্ষ ১০০’ নামে একটি বিশেষ পঞ্জিকা যৌথভাবে তৈরি করেছিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় তহবিল। এতে ব্যয় করা হয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো এই পঞ্জিকার প্রথম মাসের নাম ছিল ‘স্বাধীনতা’। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ) ছিল এই মাসের প্রথম দিন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের মতো এটিরও গণনা করার কথা ছিল ৩৬৫ দিন ধরে। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ পঞ্জিকাটির উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে পঞ্জিকাটি শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।

এই পঞ্জিকায় ১২টি মাস আছে। তবে কোনো অধিবর্ষ (ইংরেজি লিপইয়ার) নেই। ১২ মাসের নাম দেওয়া হয়েছিল—স্বাধীনতা, শপথ, বেতারযুদ্ধ, যুদ্ধ, শোক, কৌশলযুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ, জেলহত্যা, বিজয়, ফিরে আসা, নবযাত্রা ও ভাষা। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন শ্রমসচিব কে এম আলী আজম পঞ্জিকাটির মোড়ক উন্মোচন করে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, পঞ্জিকায় বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সব অংশীজনের মতামত নিয়ে ক্যালেন্ডারটি চূড়ান্ত করে এরপর সরকারি সব দপ্তরে রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো পঞ্জিকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ