মেসি-নেইমার বন্ধুত্বে জ্বলতেন এমবাপ্পে!
Published: 18th, January 2025 GMT
অবশেষে পিএসজি অধ্যায় নিয়ে মুখ খুললেন নেইমার। বেরিয়ে এলো অনেক তেতো সত্য! প্যারিসের ক্লাবটিতে নাকি কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নেইমারের সম্পর্কটা ভালোই ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের আগস্টে লিওনেল মেসি সেখানে যেতেই বাধে গণ্ডগোল। মেসি ও নেইমারের মধ্যে সুসম্পর্ক দেখে নাকি হিংসায় জ্বলতেন ফরাসি তারকা। তাঁর মধ্যে একটা অহংকার কাজ করত বলেও জানান নেইমার। এই অহংবোধের কারণে পিএসজির পারফরম্যান্সে ব্যাঘাত ঘটত বলেও মনে করছেন নেইমার। ব্রাজিলের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী স্ট্রাইকার রোমারিওর সঙ্গে এক পডকাস্টে পিএসজির ওই দিনগুলোসহ অনেক কিছুই বলেছেন নেইমার।
পডকাস্টে রোমারিও জিজ্ঞেস করেন, পিএসজিতে এমবাপ্পে বিরক্তিকর ছিল কিনা! নেইমার জবাব দেন, “না, সে ওই রকম ছিল না। তার সঙ্গে আমার নিজস্ব কিছু বিষয় ছিল। আমাদের সামান্য মনোমালিন্য হতো। তবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আমরা সবাই জানতাম সে হলো ক্লাবের মূল ভিত্তি। আমি তাকে ‘গোল্ডেন বয়’ বলে ডাকতাম। আমি সব সময় তার সঙ্গে খেলতাম। তাকে বলতাম, সে সেরাদের একজন হবে। আমি সব সময় তাকে সহায়তা করতাম, অনেক কথা বলতাম, সে আমার বাসায় আসত, আমরা একসঙ্গে রাতের খাবার খেতাম।”
তবে মেসির আগমনেই সে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয় বলে জানান নেইমার, ‘তার সঙ্গে আমার জুটিটা কয়েক বছর ভালোই ছিল। কিন্তু মেসি আসার পরই সে কিছুটা হিংসা করতে শুরু করল। আমার সঙ্গে আর কারও ভালো সম্পর্ক হোক, এটা সে চায়নি। এর পরই মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো, তার আচরণ পাল্টে গেল।’
২০১৭ সালে মোনাকো থেকে পিএসজিতে যোগ দেন এমবাপ্পে। একই বছর বার্সেলোনা থেকে রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে প্যারিসের ক্লাবটিতে আসেন নেইমার। কাতারি মালিকরা দু’জনকেই এনেছিলেন মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের লক্ষ্যে। যেটা এখনও পূরণ করতে পারেনি। ২০২১ সালের আগস্টে সেখানে যান মেসি। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকর ত্রয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সেটা হয়নি। এর পেছনে ছিল নাকি অংহবোধ। এই অংহবোধের কারণে দল ভুগত বলে জানান নেইমার।
যদিও কারও নাম উল্লেখ করেননি তিনি, ‘অংহকার থাকা ভালো। কিন্তু আপনার মনে রাখা উচিত, আপনি একা খেলতে পারবেন না। আপনার পাশে আরেকজনকে লাগবেই। সর্বত্রই এই অহংবোধ ছিল, যার ফলাফল মোটেও ভালো ছিল না। আপনি যদি একা দৌড়ান এবং কেউ যদি সহায়তা না করে, তাহলে কোনো কিছু জেতা অসম্ভব।’
তিনজনই এখন পিএসজি ছেড়ে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানায়। তিনজনের মাঝে তৈরি হওয়া তিক্ততা নিয়ে ২০২৩ সালে মেসি ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি জমান। ওই বছরই নেইমার চলে যান সৌদি লিগের দল আল হিলালে। আর এ বছর রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন এমবাপ্পে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সৌদি ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি শেষ হবে নেইমারের। এর পর ব্রাজিলে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প ন এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে চবিতে আমরণ অনশন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) পক্ষে আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাত শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অনশন শুরু করেন তারা।
অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুইরেন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল, আরবি সাহিত্য বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফুয়াদ , ইসলামিক স্টাডিজের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উৎস মাহমুদ, ইংরেজি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফ চৌধুরী।
আরো পড়ুন:
চবিতে ‘বাঁধন’ এর পথচলা শুরু
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন চবি অধ্যাপক
অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “আমরা কুয়েটের উপাচার্য মাসুদের পদত্যাগের দাবিতে অনশনে বসেছি। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা অনশন চালিয়ে যাব।”
আশরাফ চৌধুরী বলেন, “কুয়েটে বহিরাগতদের হামলায় আমাদের ভাইয়েরা আহত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিরাগতদের শাস্তি না দিয়ে উল্টো নিরপরাধ ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। আমাদের ভাইয়েরা ৫০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আমরণ অনশন করছে। তবুও কেউ তাদের কাছে আসেনি।”
তিনি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরণ অনশনে বসেছি। অবিলম্বে কুয়েট ভিসির পদত্যাগ চাই।”
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
গত ১৪ এপ্রিল রাতে সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরদিন ১৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা উপাচার্য মুহাম্মদ মাসুদের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানান। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী