রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও মহানগরের কর্মী সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকেই মঞ্চে জামায়াতের স্থানীয় নেতারা বক্তব্য শুরু করেছেন। এছাড়া বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে ইসলামিক গান পরিবেশন করা হচ্ছে। 

কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.

শফিকুর রহমান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি রাজশাহী এসেছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজশাহীতে বড় পরিসরে জামায়াতের এমন কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা। 

এদিকে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জামায়াতে ইসলামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাদ্রাসা মাঠে প্রবেশ করছেন। মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামীর শৃঙ্খলা বিভাগের স্বেচ্ছাসেবকেরা দায়িত্ব পালন করছেন। সম্মেলন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির ড. মো. কেরামত আলী। 

সম্মেলনে প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী সমবেত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। কর্মী সম্মেলন ছাড়াও এদিন দুপুরে চিকিৎসক সমাবেশ এবং বিকাল ৩টায় মহিলা সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন বাদ মাগরিব ব্যবসায়ীদের নিয়ে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ