বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনে নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ
Published: 18th, January 2025 GMT
২০০৮ সালে ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর বসেছিল মালয়েশিয়ায়। ১৭ বছর পর আবার কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট বসছে দেশটিতে। আজ মালয়েশিয়ায় শুরু হচ্ছে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি২০ বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী দিনে ম্যাচ হবে ৬টি। এর মধ্যে নেপালের মুখোমুখি হবেন বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় সেলেঙ্গর প্রদেশের বাঙ্গি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুরু হবে ম্যাচটি।
নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি২০ বিশ্বকাপের এটি দ্বিতীয় আসর। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৬ দলকে নিয়ে হয়েছিল প্রথম আসর। এবারও চার গ্রুপে ভাগ হয়ে ১৬টি দেশ অংশ নিচ্ছে। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নেপাল ও স্কটল্যান্ড। প্রথম আসরে স্বাগতিক প্রোটিয়াদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। গত ডিসেম্বরে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে সেই ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার টি২০ বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগে গতকাল এক ভিডিও বার্তায় শিরোপা জেতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমরা সবাই মিলে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা জানি বিষয়টি সহজ হবে না। তবে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে সব সময়ই প্রস্তুত।’
আজকের প্রতিপক্ষ নেপালকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘নেপাল ভালো দল। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। আমরা তাদের হালকাভাবে নিচ্ছি না। তারা নিশ্চয়ই তাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবে। আমরাও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
২০ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া ও ২২ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। গত আসরে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বর্তমান দলটির বেশ কয়েকজনের চাপের মুখে ভালো খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ জন্য আশাবাদী অধিনায়ক সুমাইয়া। প্রতি গ্রুপ থেকে ৩টি করে দল দ্বিতীয় পর্বে যাবে। ১২ দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। সেখানে দুই গ্রুপের শীর্ষ দু’দল সেমির টিকিট পাবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল
অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।
তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ঢাকা/সৌরভ/রফিক