ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি অনুমোদন
Published: 18th, January 2025 GMT
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের পূর্ণ মন্ত্রিসভা। যা রোববার থেকে কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে ১৫ মাস ধরে চলা সহিংসতার অবসান হতে যাচ্ছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গভীর রাত পর্যন্ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুই ডানপন্থি মন্ত্রী চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় চুক্তি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার সকালে ইসরায়েলি সরকার এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। সরকার বন্দীদের মুক্তির জন্য কাঠামো অনুমোদন করেছে। যা রোববার থেকে কার্যকর হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস, যাদের মধ্যে সব নারী, শিশু ও ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষরা রয়েছেন।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকরের বিষয়ে আলোচনাগুলো প্রথম ধাপের ১৬তম দিনের মধ্যে শুরু হবে। সেখানে অবশিষ্ট সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
তৃতীয় ধাপে বাকি মরদেহগুলো ফেরত দেওয়া এবং গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরুর কথা রয়েছে। এই কাজ মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলাদাভাবে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেন। দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও যুদ্ধবিরতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে। এসব হামলায় গত ১৫ মাসে ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ভুটানের বাণিজ্য আরো সহজ করার আহ্বান
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া আরো সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তারা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভুটানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের আলোচনা সভা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যের অনাবিষ্কৃত খাতগুলো নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
দুই দেশের ব্যবসায়ীরা, ফল, সবজি, মসলাসহ বেশকিছু কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখছেন। তারা উভয় দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
ভুটানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রিজিওনাল অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং অ্যান্ড কো-অপারেটিভ অফিসের (রেমকো) রিজিওনাল ডিরেক্টর দাওয়া ডাকপা। এ সময় এফবিসিসিআইর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল ও ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর (বাণিজ্য) দাওয়া শেরিং উপস্থিত ছিলেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন—এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক হাজী মো. এনায়েতউল্লাহ, ফেরদৌসী বেগম, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম আমিরুল ইসলাম ভূইয়াঁ, এফবিসিসিআইর সাধারণ পরিষদের সদস্য মো. জাকির হোসেন, শেখ আল মামুন এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী।
ঢাকা/এনএফ/রফিক