‘‘ শিশু দিনে তিনবারের অধিক তরল পায়খানা করলে বাবা-মায়ের খুব সতর্ক থাকা দরকার। কারণ বার বার পাতলা পায়খানা হলে শিশু খুব দ্রুত পানিশূন্যতায় ভুগতে শুরু করে। — কথাগুলো জানিয়েছেন ডা. সাদিকা কাদির, শিশু পুষ্টি ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ, সহকারি অধ্যাপক, জেড এইচ সিকদার উইমেন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

ডা. সাদিকা কাদির আরও বলেন, ‘‘যদি দেখেন শিশু হাসি খুশি আছে, খেলাধুলা করছে তাহলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।  কিন্তু যদি দেখেন শিশুর মেজাজ একেবারে খিটখিটে হয়ে আছে এবং এরপরে নেতিয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে এটা খুবই মারাত্মক লক্ষণ। শিশুর চোখ যদি বসে যায় তাহলে এটাও গুরুতর বিপদ চিহ্ন। মারাত্মক চিহ্নগুলোর মধ্যে আরও হচ্ছে, শিশু যদি ঘন ঘন পানি পান করে এবং এক সময় আর পানিও পান করতে চায় না কিংবা শিশুর শরীরের চামড়া টান দিলে যদি দুই সেকেন্ডের বেশি ঝুলে থাকে তাহলে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।’’

শিশুকে যা যা খাওয়াতে হবে
শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে হবে। 
কাঁচা কলা ও মুরগির মাংস দিয়ে জাও রান্না করে দিতে পারেন।
ডাবের পানি খাওয়াতে পারেন।
চিনি ও ফলজাতীয় খাবার বন্ধ রাখতে হবে। 

আরো পড়ুন:

দীর্ঘসময় বসে কাজ করতে হয়, স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় কী?

এইচএমপি ভাইরাস: ৬ ধরনের রোগীকে সতর্কতার পরামর্শ

ডা.

সাদিকা কাদির বলেন, ‘‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শিশুকে স্যালাইন খাওয়ানো। শিশুর প্রত্যেকবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পরে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। সেক্ষেত্রে শিশুর ওজন যদি ১০ কেজি হয় তাহলে ৭৫০ এমএল খাবার স্যালাইন চার ঘণ্টার মধ্যে খাওয়াতে হবে।’’ 

শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনকে ‘বলিউডি রোমান্টিক কমেডি’ বলল প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে লিখেছে- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলিউডের রোমান্টিক কমেডির চেয়েও বাস্তবতার সাথে কম মিল রয়েছে।’

প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরও বলেছে, ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ কৌশল ব্যবহার করছে, যা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রক্সি হিসেবে কাজ করা শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া এবং বাংলাদেশের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসম্মান করার উদ্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের যে জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলো গত জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে, তাকে টার্গেট করা হচ্ছে।

হাইব্রিড যুদ্ধের অংশ হিসেবে তথ্য পরিচালনা বা ‘অপতথ্য’ ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে লক্ষ্যবস্তুকে অভ্যন্তরীণ এবং তার স্বাভাবিক বন্ধু ও মিত্রদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়।

বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা সাধারণত একেবারে মনগড়া একটি গল্প দিয়ে শুরু হয়, যার কোনো বাস্তব ভিত্তি বা প্রমাণ থাকে না, বরং নামহীন ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বানানো হয় এবং তা বন্ধুত্বপূর্ণ বা নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

প্রেস উইং ফ্যাক্টস উল্লেখ করে-‘যদি গল্পটি যথেষ্ট চটকদার হয়, তাহলে অন্যান্য সংবাদমাধ্যম এটি তুলে নেবে এবং প্রচারের ফলে এটি বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘একপর্যায়ে, যারা বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু বিশদ বিশ্লেষণের সময় পান না, তারাও এই গল্পটি সত্য বলে বিশ্বাস করতে পারেন, যা মূলত একজন প্রোপাগান্ডাবিদের কল্পনাপ্রসূত ধারণা ছাড়া আর কিছুই না।’

ফ্যাক্টস আরও উল্লেখ করেছে, মিথ্যা প্রচারণা ও অপতথ্যে বিশ্বাস করে মানুষ যখন যার বিরুদ্ধে প্রচার হচ্ছে, তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে, তখন তা পুরোপুরি সফল হয়।

এই ক্ষেত্রে, প্রতিপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ ও তাদের নিজস্ব সার্বভৌম রাষ্ট্র পরিচালনার আকাঙ্ক্ষা। আর স্বেচ্ছায় এই মিথ্যা প্রচারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি।

ফ্যাক্টস আনন্দবাজারের উদ্দেশে বলেছে, ‘আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি প্রকৃত সাংবাদিকতা করবেন, যেখানে সত্য ঘটনা অনুসন্ধান করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, নাকি মিথ্যা প্রচারণার অংশ হিসেবে মিথ্যা গল্প ছড়িয়ে একটি বন্ধুপ্রতীম দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবেন?’

সম্পর্কিত নিবন্ধ