এ সপ্তাহের রাশিফল (১৮-২৪ জানুয়ারি)
Published: 18th, January 2025 GMT
পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটির (বিএএস) যুগ্ম মহাসচিব জ্যোতিষশাস্ত্রী ড. চিন্ময় চৌধুরী মিথুন।
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): সববিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করুন। কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কষ্ট হবে। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন। ভ্রমণের সুযোগ তৈরি হবে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। নেতিবাচক পরিবেশ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। প্রণয়ঘটিত বিষয়ে সফলতা আসবে। প্রাত্যহিক জীবনে আনন্দ উপভোগ করবেন।
বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে, অন্যথায় সমস্যায় পরতে পারেন। পারিবারিক কলহ বাড়তে পারে।অফিসে কর্তৃপক্ষের আনুকূল্য পাবেন। আর্থিক পরিস্থিতি ভালো যাবে। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো নাও যেতে পারে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। স্বাস্থ্যে মনোযোগী হোন। ভ্রমণ শুভ। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় আপনার অনুকূলে থাকবে।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (১১-১৭ জানুয়ারি)
২০২৫: জেনে নিন কী আছে আপনার ভাগ্যে
মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): শৃঙ্খলা আপনার সফলতার ভিত্তি, এই বিষয়কে গুরুত্ব দিন। পারিবারিক জীবনে অশান্তি বাড়তে পারে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করুন। নিজের সন্তানের প্রতি যত্নশীল হোন। যানবাহন চলাচলে সতর্ক হোন। আর্থিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। ব্যবসায়িক ও পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। রোমান্টিক সম্পর্কে দৃঢ়তা প্রয়োজন। রাগ, ক্ষোভ, হতাশা নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন।
কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): পারিবারিক বিষয়ে আন্তরিকতা, পারস্পারিক সমমর্মিতা বজায় রাখুন। দুর্ঘটনাজনিত বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সঠিক ডায়েট মেনে চলুন। শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। অফিসে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন। প্রেমে মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। চাকরি ও পেশাগত বিষয়ে সফলতা আসার সম্ভাবনা আছে। ভ্রমণ শুভ। রোমান্টিক যোগাযোগ শুভ।
সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): সাফল্য পেতে হলে আপনার অন্তর্গত শক্তিকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি করুন। নেতিবাচক পরিবেশ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। প্রণয়ঘটিত বিষয়ে সফলতা আসবে। দীর্ঘ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। প্রাত্যহিক জীবনে আনন্দ উপভোগ করবেন। পারিবারিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। পেশাগত কাজে দায়িত্ব বাড়বে।
কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): আত্মবিশ্বাসী মনোভাব বজায় রাখতে পারলে সাফল্য পাবেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় ভালো থাকবেন। কোনোরকম রাগ বা জেদ ক্ষতির কারণ হতে পারে। মনোবল চাঙা থাকবে। রোমাঞ্চ শুভ। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। কর্মক্ষেত্র শুভ। নাম-যশ বৃদ্ধি পাবে। প্রিয়জনের সঙ্গে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের জন্য অমনোযোগিতা বাড়বে। স্পষ্ট কথা বলে অযথা শত্রু তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন। যেকোনো বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। আপনার সংবেদনশীলতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): সময়কে গুরুত্ব দিন। দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবনে অশান্তি বাড়বে। যেকোনো বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। আপনার সংবেদনশীলতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেউ কেউ বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। কোনো বিশেষ বন্ধু দ্বারা উপকৃত হবেন। কর্ম পরিবেশে মানিয়ে চলার চেষ্টা করুন।
ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): ব্যস্ততা বাড়বে। পেশাজীবীদের সুনাম বাড়বে। আর্থিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। আপনার গৃহীত পদক্ষেপ প্রশংসিত হবে। নিজের প্রতি যত্নশীল হোন। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন।
মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): পেশাগত জীবনে শৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দিন। স্পষ্ট কথা বলার প্রবণতা বাড়বে। ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। স্থূল আনন্দে গা ভাসিয়ে দেবেন না। খরচ কমাতে চেষ্টা করুন। জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করুন। দ্রুত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন না।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার দিকে বিশেষ সতর্ক হোন। অতিরিক্ত কল্পনাবিষয়ক বিলাসী মানসিকতার জন্য পেশাগত জীবনে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সপ্তাহটি আপনার জন্য শুভ সম্ভবনাময়। ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখুন। চাটুকারিতায় বিভ্রান্ত হবেন না।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): সব ধরনের মতানৈক্য এড়িয়ে চলুন। দাম্পত্য জীবনে রুক্ষতা এড়িয়ে চলুন। রোগ বেঁধে গিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। আপনার চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হন। স্নায়ুবিক দুর্বলতায় ভুগতে পারেন। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করুন, না হলে সমস্যা তৈরি হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল র জন য আর থ ক পর ব শ ব যবস সমস য সতর ক ভ রমণ আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
পাহাড়ে শুকনা কলাপাতায় মাশরুম চাষে সাফল্য
পাহাড়ের আনাচে কানাচে রয়েছে অসংখ্য কলাগাছ। ফল সংগ্রহের পর গাছসহ পাতা কেটে ফেলে দেওয়া হয়। কলা গাছের এসব পাতা এখন আর ফেলনা নয়। কলাপাতা শুকিয়ে তা দিয়ে পাহাড়ে প্রথমবার মাশরুম চাষে সফলতা মিলেছে। এতে কম খরচ হওয়ায় মাশরুম উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে চাষির।
জানা গেছে, সাধারণত ধানের খড় ও তুষ দিয়ে পুষ্টিকর খাদ্য মাশরুম চাষ করা হয়। কিন্তু পাহাড়ে খড় ও তুষ সহজেই মেলে না। তবে শুকনা কলাপাতা সহজেই পাওয়া যায়। এতে অল্প খরচে মাশরুম চাষ করা যায়। এসব কথা চিন্তা করে রাঙামাটিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উইমেন্স এডুকেশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট (উইভ) ও আরএসএফ সোশ্যাল ফাইন্যান্স যৌথ উদ্যোগে ‘ইমপ্রুফ ম্যানেশ্চুয়াল হাইজিন প্র্যাকটিস অ্যান্ড ইকোনমি এমপাওয়ারমেন্ট’ শীর্ষক এক বছর মেয়াদি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্প এলাকা হিসেবে রাঙামাটি কাউখালী উপজেলা সদরের কচুখালী ও রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি খামার এলাকায় চাষিদের প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষামূলক মাশরুম চাষ করা হয়। এতে সফলতা এসেছে। ইতোমধ্যে চাষিরা এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত মাশরুম বিক্রি করে আয়ও করছেন। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে।
কচুখালী এলাকার মাশরুমচাষি ম্যমাচিং মারমা জানান, উইভের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি শুকনা কলাপাতায় মাশরুম চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে দুই থেকে তিন কেজি মাশরুম বিক্রি করেছেন। বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্ডারও মিলছে।
সাপছড়ি যৌথ খামার এলাকার চাষি আলোরানী চাকমা জানান, প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর কলাপাতায় এ চাষ করেছি। এখন মাশরুম এসেছে। ভবিষ্যতে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
প্রকল্পের সমন্বয়ক পূর্ণচন্দ্র চাকমা জানান, ধানের খড়ের পরিবর্তে শুকনা কলাপাতায় মাশরুম চাষ পার্বত্য চট্টগ্রামে এই প্রথম। কলাপাতা দিয়ে দুইভাবে মাশরুম চাষ করা হয়। এক পদ্ধতিতে পলিথিন ব্যাগের মাধ্যমে মাশরুমের বীজ জীবাণুমুক্ত করতে সিদ্ধ করা শুকনা কলাপাতা দিয়ে চাষ করা হয়। অন্য পদ্ধতিতে বেসন ও মাশরুম বীজ সিদ্ধ করা শুকনা কলাপাতায় মুড়িয়ে বেঁধে রাখতে হয়। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এক মাস পর মাশরুম আসে।
উইভের নির্বাহী পরিচালক নাইউ প্রু মারমা মেরী বলেন, শুকনা কলাপাতায় মাশরুম চাষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরাই প্রথম সফল হয়েছি। কৃষকরা এ পদ্ধতির চাষে খুবই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাঙামাটির উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মাশরুমের এ চাষপদ্ধতি অত্যন্ত সহজলভ্য হওয়ায় চাষিরা উৎফুল্ল। বিশেষ করে পাহাড়ি নারীরা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।