ধামরাইয়ে শিক্ষার্থী সাদ হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 18th, January 2025 GMT
ঢাকার ধামরাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় আব্দুর রাজ্জাক (৪৭) নামে একজন যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক নান্নার ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা জেলা চালক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। তিনি নান্নার ইউনিয়নের নান্নার এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ গেটের সামনে নির্বিচারে গুলি করা হয়। এ সময় কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ আগস্ট সকালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট স্থানীয় সাবেক এমপি বেনজীর আহমদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় যুবলীগ নেতা রাজ্জাককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.
ঢাকা/সাব্বির/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামীপন্থি আইনজীবীকে জামিন, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
আওয়ামীপন্থি দুই আইনজীবীকে মামলা থেকে জামিন করানোর ঘটনায় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতিকে আইন পেশা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে শহরের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদালত চত্বরে মানববন্ধন করেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্ররা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বিএনপি নেতার গাড়িতে ২০২৩ সালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন আলম মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়সহ ১২৯ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আজিজুল হক, ধামশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস আলী, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন, কলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জিয়নপুর আওয়ামী লীগের বেলায়েত হোসেন ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আখিনুর রহমান। পরে আজিজুল হক, ইদ্রিস আলী ও ছানোয়ার হোসেনকে জামিন দেন বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা। অন্য তিন আসামিকে তিনি জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ এফ এম নুরতাজ আলম বাহার জানান, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে তিনি বিরোধিতা করেছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মেজবাউল হক, নজরুল ইসলাম বাদশা ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আবুল কাশেমসহ কয়েকজন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মেজবাউল হক বলেন, একজন আইনজীবী যে কোনো মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন। তিনি তাঁর দু’জন সহকর্মীর জন্য জামিন শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। কারণ মামলার ঘটনাটি ৫ আগস্টের অনেক আগের। যাদের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নিয়েছেন, তারা দু’জনই আইনজীবী এবং অসুস্থ। যারা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছে, তারা বৈষম্যবিরোধী ব্যানার ব্যবহার করেছে। আগামীতে তিনি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হওয়ার কারণে নিজ দলের অন্য প্রার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ এস জিন্নাহ কবীর জানান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মেজবাউল হক দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্য আদালতে জামিন শুনানি করেছেন। এতে তিনি দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। এ কারণে (আজ) বৃহস্পতিবার তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি সদুত্তর দিতে না পারলে বিষয়টি কেন্দ্রে জানানো হবে।