ঢাকার ধামরাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় আব্দুর রাজ্জাক (৪৭) নামে একজন যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক নান্নার ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা জেলা চালক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। তিনি নান্নার ইউনিয়নের নান্নার এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ধামরাই হার্ডিঞ্জ সরকারি স্কুল ও কলেজ গেটের সামনে নির্বিচারে গুলি করা হয়। এ সময় কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ আগস্ট সকালে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত সাদের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট স্থানীয় সাবেক এমপি বেনজীর আহমদসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় যুবলীগ নেতা রাজ্জাককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.

এনামুল হক বলেন, ‘কলেজছাত্র আফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’

ঢাকা/সাব্বির/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যক্তিগত ভিডিও প্রকাশের পর সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিকে বহিষ্কার

ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়,  বিভিন্ন অপকর্ম এবং চারিত্রিক স্খলনের কারণে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ বি এম জাকারিয়ার নির্দেশে তাঁকে প্রাথমিক সদস্য ও সব পদপদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

জানতে চাইলে সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীরকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দলের শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত ওই নেতাকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে বিএনপি নেতা কাজী আলমগীরের একটি ব্যক্তিগত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা বিব্রত হন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি জেলা বিএনপির নজরে আনা হলে তাঁরা অভিযুক্ত বিএনপি নেতা কাজী আলমগীরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যক্তিগত ভিডিও প্রকাশের পর সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিকে বহিষ্কার
  • ঢাকায় ঝটিকা মিছিলের পর ছাত্রলীগ-আ.লীগের ১১ জন গ্রেপ্তার
  • আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের তিন নেতা গ্রেপ্তার